Peshawar Blast: সন্ত্রাসের বীজ বুনেছে পাকিস্তানই! জঙ্গিহামলা নিয়ে আক্রমণাত্মক স্বয়ং পাকমন্ত্রীই...
Pak Minister on Peshawar Blast: অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান। অর্থসাহায্যের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। চলছে বিদ্যুতের বিভ্রাট। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। এই পরিস্থিতিতে নতুন বিপদ। পেশোয়ারের এক মসজিদের সেন্ট্রাল ঘটল ভয়ংকর বিস্ফোরণ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান। বিদেশ থেকে অর্থসাহায্যের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে চলছে বিদ্যুতের বিভ্রাট। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দামে নাজেহাল পাকনাগরিক। এইরকম পরিস্থিতিতে নতুন বিপদ। দুদিন আগে, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক মসজিদের সেন্ট্রাল হলে বিস্ফোরণ ঘটল। এতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে শতাধিকের। মসজিদে ভয়াবহ এই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে পাক তেহরিক-ই-তালিবানের এক জঙ্গি। পাকিস্তানে এই জঙ্গি হামলা নিয়ে পাকমন্ত্রী বলেছেন--করাচি থেকে সোয়াট পর্যন্ত শান্তি ফিরেছিল। কিন্তু এক-দেড় বছর পিছনে তাকালে দেখা যাবে, এ ধরনের ঘটনা ফের শুরু হয়েছে! এই হামলার নিন্দা করেছে পড়শি ভারতও। তবে
আরও পড়ুন: Peshawar Blast: পেশোয়ারের মসজিদে সন্দেহভাজন জঙ্গির কাটা মুণ্ডু! বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ১০০
একদিন আগে পেশোয়ারের হামলার প্রসঙ্গ তোলেন আসিফ। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ক্ষুব্ধ পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন-- শুধু বলব, এই সন্ত্রাসবাদের বীজ আমরাই বপন করেছি। পেশোয়ারের মসজিদে হামলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন-- ভারত বা ইজরায়েলেও ধর্মস্থানে প্রার্থনারত কাউকে নিশানা করে না জঙ্গিরা। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়তে গোটা দেশকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: Cash Found In House Wall: একাই দেওয়াল ভাঙছিলেন মজুর, গাঁইতি চালাতেই ঝরতে লাগল রাশি রাশি টাকা...
পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া বা সেখানে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ এর আগে বহু বার উঠেছে। এ অভিযোগ একাধিকবার এনেছে ভারতই। কিন্তু পাকিস্তান তা উড়িয়ে দিয়েছে। এবার প্রায় একই সুর পাকিস্তানের গলায়। একই অভিযোগ শোনা গেল স্বয়ং পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গলাতেই!
ওই মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। আহত দু’শোরও বেশি। মৃত্যু বা আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। হতাহতের বেশির ভাগই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। কেউ পুলিস, কেউ সেনা, কেউ বম্ব স্কোয়াডের কর্মী।