জার্মানিতে বাংলাকে শিল্পের গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরলেন মমতা
বাংলায় যে মেধার অভাব নেই, জমি ব্যাঙ্কও রয়েছে, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন: শিল্পবান্ধব রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। মেধার কোনও অভাব নেই। এভাবেই জার্মানিতে বাংলার শিল্প সম্ভাবনা ফেরি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুটবল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও জার্মানির মিল তুলে ধরে মমতা জানালেন, দুদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। বিশ্বকাপ ফুটবলে জার্মানিকে সমর্থন করেন বহু মানুষ।
রাজ্যে শিল্প আনতে ইউরোপ সফরে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৩ দিনের বিদেশ সফরে একের পর এক বৈঠক রয়েছে তাঁর। এদিন জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্টে তিনটি বণিকসভার সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে শিল্পের গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। ইউরোপীয় শিল্পপতিরা কেন বাংলাকে বেছে নেবেন, তা পরিসংখ্যান দিয়ে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জার্মানি ও বাংলার ফুটবেল প্রেমের কথা তুলে ধরে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, জার্মানি ও বাংলার দীর্ঘদিনের মধুর সম্পর্ক। দুদেশের মানুষ ফুটবল ভালবাসেন। আমরা অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিলাম বাংলায়। জার্মানির ফুটবল দলও বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল। জার্মানির ফুটবল দলকে ভালবাসেন বাংলার মানুষ।
২০১৬ সালেও বাংলায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কথা স্মরণ করিয়ে বাংলার সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ''আমি ভাল বক্তা নই। আমার সেনাপতি (অমিত মিত্র) শিল্পের নানা দিক তুলে ধরেছেন। জার্মানি ও ভারত দীর্ঘদিনের কৌশলী বন্ধু। ভৌগলিক, অর্থনৈতিক ও ঐতিহাসিক দিক থেকে বাংলা সমৃদ্ধশালী''। মমতা আরও বলেন, ''দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার বাংলা। নেপালের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়। পড়শি বাংলাদেশে পৌঁছনো যায় ২০-২৫ মিনিটে। ১০-১৫ মিনিটে পৌঁছনে যায় ভুটান। বিমানপথে সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতার দূরত্ব ৩ ঘণ্টা। ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতা যেতে লাগে ২ ঘণ্টা। কুয়লালামপুর লাগে ৩ ঘণ্টা''।
বাংলায় যে মেধার অভাব নেই, তাও স্পষ্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,''বাংলায় প্রতিভা অফুরন্ত। সম্ভাবনাময় যুব সম্প্রদায় রয়েছে। গোটা বিশ্বে কাজ করছেন বাংলার প্রতিভাবানরা''। রাজ্যের শিল্প অনুকূল পরিবেশের কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''সহজে ব্যবসা করা যায় পশ্চিমবঙ্গে। সহজে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে রাজ্য। এরাজ্যে অনুকূল শিল্পনীতি রয়েছে। রয়েছে জমি ব্যাঙ্কও''।
আরও পড়ুন- বেটিং করতে পারে দাউদ, ভারত-পাক ম্যাচে নজর ৬টিরও বেশি দেশের গোয়েন্দাদের