'হার্ড ইমিউনিটি'র ধারণা ভুল, জানাল 'হু'
হার্ড ইমিউনিটি' যে অবৈজ্ঞানিক এবং নীতিগত ভাবেও ঠিক নয়, তা জানিয়ে দিল হু

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভরসা করার মতো করোনা ভ্যাকসিন এখনও হাতে আসেনি। ইতিমধ্যে সংক্রমণ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিয়ে 'হার্ড ইমিউনিটি' বা গোষ্ঠীর মধ্যে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার তত্ত্বটি দেশে দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিষয়টি যে বেশ অবৈজ্ঞানিক এবং নীতিগত ভাবেও ঠিক নয়, তা পরিষ্কার জানিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সোমবার সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, 'রোগ ছড়িয়ে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির পথে আমরা কখনও হাঁটেনি। প্রতিষেধক প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই শব্দটা আমরা ব্যবহার করে থাকি ঠিকই। এবং কোনও জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে প্রতিষেধক দিয়ে তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার একটা চেষ্টা কখনও কখনও করা হয়। তবে রোগ ছড়িয়ে দিয়ে কখনই নয়!' তিনি আরও বলেন, 'কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে আমরা এখনও তেমন কিছু জানি না। আক্রান্তের দেহে প্রাথমিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে হয়তো। কিন্তু তার স্থায়িত্ব কত দিন, জানা নেই। অনেকেই তো দ্বিতীয় বারের জন্যও আক্রান্ত হচ্ছেন।'
হু-র তরফে আরও দাবি করা হয়, আমাদের উপরে কোভিডের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব কী হতে চলেছে, তা এখনও জানি না। রোগ ছড়িয়ে হার্ড ইমিউনিটি তৈরির ভাবনাটাই অনৈতিক।
মঙ্গলবার 'দ্য ল্যানসেট' পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে প্রায় একই ধরনের তথ্য সামনে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বার কোভিড আক্রান্তের শরীরে আরও জটিল উপসর্গ দেখা দেয় বলে জানা যাচ্ছে। দু'ক্ষেত্রেই ভাইরাস দু'টির ধরন আলাদা হয়। তবে তারা সার্স-কোভ-২ গোত্রেরই। প্রথম বার উপসর্গ তেমন না থাকলেও, দ্বিতীয় বারের সংক্রমণের পরে সংশ্লিষ্ট রোগীর অবস্থার যথেষ্ট অবনতি ঘটে বলে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আপনি করোনা ছড়াচ্ছেন! প্লিজ, একটু কম গান করুন!