দেরিতে, তবুও দাপুটে ব্যাটিং শুরু বর্ষার
আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহে গলদঘর্ম হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। অবশেষে বিরহী বাঙালির কাছে পৌঁছল মেঘদূত। কালো মেঘের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের কোণায় কোণায়। হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা হাওড়া সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে দূরের জেলাগুলিতেও।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আষাঢ়ের প্রথম সপ্তহে গলদঘর্ম হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। অবশেষে বিরহী বাঙালির কাছে পৌঁছল মেঘদূত। কালো মেঘের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের কোণায় কোণায়। হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা হাওড়া সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে অন্যান্য জেলাগুলিতেও।
সোমবার সকাল থেকেই শহরে বিভিন্ন প্রান্তে বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একই পরিস্থিতি হওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলিতেও। পাশাপাশি আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে আরও ভারি বৃষ্টির কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গেও বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২০ দিনে দক্ষিণবঙ্গে ৫০০ মিমি ও উত্তরবঙ্গে ৭০০ মিমি বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। ছোটনাগপুর মালভূমিতেও তুমুল বৃষ্টি হবে যার জেরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুন দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশের পর থেকে বেপাত্তা বর্ষা। পূর্বাভাস ছিল নিম্নচাপের হাত ধরে ২৩ জুন ফের বর্ষা ফিরবে দক্ষিণ বঙ্গে। সেই মতোই শনিবার সকালেই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রেডারে দেখা যায় বাদল মেঘের বিশাল পুঞ্জটি। যার জেরে শনিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় সকাল থেকেই শুরু হয় বৃষ্টিপাত। ক্রমশ বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে থাকে উত্তরের দিকে।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমান পরিষেবাও বিলম্বিত হয়েছে। ৫টি বিমান ওঠানামায় দেরি হবে বলে জানা গিয়েছে। শিয়ালদহ ও হাওড়া শাখায় সমস্ত ট্রেন দেরিতে চলছে।