North Bengal Ghost Station: অমাবস্য়ার রাতে ভূত ধরতে রেল লাইন পাহাড়ায় পুলিস-দমকল-RPF, তারপর...
মিলল ভূতের খোঁজ?
প্রদ্যুৎ দাস: জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির দোমোহনির কাছে লাইনচ্যুৎ হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস (Bikaner-Guwahati Express Derailed)। মৃত্যু হয় বহু মানুষের। এরপর থেকে ভূতের উপদ্রপে ঘুম উড়েছে সেখানকার আশপাশের গ্রামের মানুষের। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ের হয়ে উঠেছে যে অমাবস্যার রাতে ভূত ধরতে ময়দানে নামলেন স্বয়ং ময়নাগুড়ি থানার আইসি।
গত ১৩ এপ্রিলের রেল দুর্ঘটনার (North Bengal Train Accident) কয়েকদিন পর থেকে দোমোহনির আশপাশের এলাকার মানুষজন ভূতের উপদ্রপ নিয়ে অভিযোগ করতে থাকেন। রাতের বেলা দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলোর থেকে মৃতদের অতৃপ্ত আত্মার চিৎকার শোনা যায় বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এমনকী দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগির মাছ খেয়ে আশপাশের গ্রামের কয়েকজন গৃহবধূ ভূতের খপ্পরে পড়েছে বলেও দাবি করা হয়। এই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার রাতে সপারিষদ অভিযানে নামেন ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস। দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেলের বগির ভিতরে থাকা ভূতদের গ্রেফতার করতে ঠায় লাইনে বসে রইলেন তিনি। একজন-দুইজন পুলিশ নয়, রীতিমতো দলবল নিয়ে সেখানে হাজির ছিলেন ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস। এছাড়া ছিলেন দমকলের ওসি এবং আরপিএফ।
ভূতের দেখা কী মিলল?
কিন্তু, অমাবস্যা রাতে গোটা এলাকায় চষে বেরাল পুলিস। কিন্তু কোথায় ভূত? এই বিষয়ে আইসি তমাল দাস বলেন, "গ্রামে যে ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়েছে তা কাটাতেই আমাদের এখানে আসা। আমরা মানুষদের বোঝাব ভূত-প্রেত বলতে কিছু নেই।"
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির দোমোহনির কাছে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে (Bikaner-Guwahati Express Derailed)। এই দুর্ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আহত হন বহু। দুর্ঘটনায় মৃতদের জন্য ৫ লক্ষ, গুরুতর আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ (Ashwini Vaishnaw)। দুর্ঘটনার পরের দিনই ঘটনাস্থলেও যান তিনি। সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee)।