স্মারকলিপি দেওয়ার নামে পঞ্চায়েত দফতরে ঢুকে তাণ্ডব চালাল তৃণমূল
স্মারকলিপি প্রদানের নামে তৃণমূলের তাণ্ডব। দার্জিলিং জেলার মাটিগাড়ায় পঞ্চায়েত দফতরে ভাঙা হল সিসিটিভি। তাণ্ডব ঠেকাতে গিয়ে মার খেলেন ৩ পঞ্চায়েত সদস্য। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনা মাটিগাড়ার আঠারখাই পঞ্চায়েত অফিসের।

নিজস্ব প্রতিবেদন: স্মারকলিপি প্রদানের নামে তৃণমূলের তাণ্ডব। দার্জিলিং জেলার মাটিগাড়ায় পঞ্চায়েত দফতরে ভাঙা হল সিসিটিভি। তাণ্ডব ঠেকাতে গিয়ে মার খেলেন ৩ পঞ্চায়েত সদস্য। একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনা মাটিগাড়ার আঠারখাই পঞ্চায়েত অফিসের।
বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শুক্রবার দুপুরে আঠারখাই গ্রামপঞ্চায়েতের কার্য্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান তৃণমূল কর্মীরা। মাটিগাড়া ব্লক সভাপতি দুর্লভ চক্রবত্তীর নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি দিতে পঞ্চায়েতে ঢোকে কয়েকশো মানুষ। এর পরই পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ-প্রধানের ঘরের ভিতরের ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।
প্রথমেই ঘরের সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙ্গে দেয় উন্মত্ত তৃণমূল কর্মীরা। এরপর উপ-প্রধান সম্পা বর্মনকে তার চেয়ার থেকে উঠিয়ে ঘরের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। এরপর প্রধান অসিত কুমার নন্দীকে ঘেরাও চলে অশ্রাব্য গালি। পঞ্চায়েত প্রধানকে উদ্ধার করতে গেলে তিন পঞ্চায়েত সদস্যকে বেধরক মারধোর করেন তৃণমূল সমর্থকরা। তাদের মারে গুরুতর আহত হন পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম মন্ডল। তাকে তড়িঘড়ি ভর্তি করানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে।
প্রধান অসিত কুমার নন্দী জানান, দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার বদলে সরাসরি তাঁর ওপর চড়াও হন তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তাঁকে বা অন্য পঞ্চায়েত সদস্যদের বাঁচাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি তারা।
আরও পড়ুন - ডেঙ্গিতে মৃতদের ক্ষতিপূরণ ইস্যুতে রাজ্যকে প্রশ্ন হাইকোর্টের
তৃনমূল ব্লক সভাপতি দুর্লভ চক্রবর্ত্তী অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, 'প্রধান কী বলছে তাতে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। সাধারণ মানুষের দাবি জানাতে গিয়েছিল তৃণমূল। প্রতিদিন পঞ্চায়েত দফতরে এসে নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। যদিও তাতে কোনও হেলদোল নেই প্রধানের। পর্যাপ্ত টাকা এলেও প্রধানের অকর্মন্যতায় এলাকায় উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়েছে।'