Dhankhar On Abhishek: সীমারেখা অতিক্রম করে গিয়েছেন এক সাংসদ, নাম না করে অভিষেককে নিশানা ধনখড়ের
এভাবে প্রকাশ্যে কিছু বলার অর্থ গণতন্ত্রের বিপদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থ গণতন্ত্রের সঙ্গে সমঝোতা করা। শনিবার হলদিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের করা মন্তব্য নিয়ে এভাবেই তাঁকে নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শুধু তাই নয়, অভিষেকের নাম না করেও তিনি বলেন, তৃণমূল সাংসদ সব সীমা অতিক্রম করেছেন।
রবিবার ১৫ দিনের দার্জিলিং সফরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাংবিধানিক সংস্থাও এরাজ্যে আক্রান্ত। বিচারব্যবস্থার উপরে আক্রমণ খুবই নিন্দাজনক। এসএসসি দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য একজন বিচারককে নিশানা করা হয়েছে প্রকাশ্য জনসভায়। এটা খুবই নিন্দার। এক সাংসদ লাল সীমারেখা অতিক্রম করে গিয়েছেন। এটাকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এভাবে প্রকাশ্যে কিছু বলার অর্থ গণতন্ত্রের বিপদ।
কী বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়? শনিবার হলদিয়ায় দলের শ্রমিক সংগঠনের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমার বলতে লজ্জা লাগে বিচারব্যবস্থায় ১-২ জন এমন আছেন, যাঁরা সম্পূর্ণ যোগসাজশে তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করছেন। ১ শতাংশ হবে। কিছু হলেই সিবিআই (CBI) দিচ্ছে। খুনের মামলায় স্থগিতাদেশ দিচ্ছে। শুনেছেন কোনওদিন'?
রাজ্যপালের ওই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বিলেন, জগদীপ ধনখড় অনেক আগেই রাজ্যপাল পদের সীমা লঙ্ঘন করে গিয়েছেন। নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে তিনি বিজেপির দালালি করে যাচ্ছেন, বিজেপির এজেন্সি নিয়েছেন। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাই বলে থাকুন, তিনি বিচার ব্যবস্থার উপরে পূর্ণ আস্থা রাখেন। বহু বিচারপতির মুখ থেকে বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে আত্মসমালোচনা শোনা গিয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যে কোনও সাংসদ যদি কোনও মন্তব্য করে থাকেন তাহলে তাঁর কিন্তু আইন ও বিচার ব্যবস্থার উপরে সম্মান রেখে তিনি কোনও ব্যতিক্রমী মন্তব্য করেছেন। তানিয়ে রাজ্যপাল মন্তব্য করে রাজ্যপাল সীমা লঙ্ঘন করেছেন। ওঁর ক্ষমতা থাকলে রাজভবন থেকে বেরিয়ে বিজেপির পতাকা কাঁধে নিয়ে রাজনীতি করুন।
.আরও পড়ুন-Abhishek Banerjee: 'বিচারব্যবস্থায় এক-দু'জন রয়েছেন, তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করছেন'