টাকার লোভেই কি খুন? খড়দহের ঘটনায় অদিতির দেবরের কথায় মিলল ইঙ্গিত
তিন সদস্যের একটি ফরেন্সিক দল সোমবার খুনের ঘটনাস্থল পরীক্ষায় আসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: খড়দহ শান্তিনগরে প্রতুল চক্রবর্তী খুনের ঘটনায় অদিতি চক্রবর্তী ছাড়া, আর তার সাথে কেউ ছিলো কি না, তার হদিশ পেতেই সোমবার ফরেন্সিক বিভাগ এল ঘটনাস্থল পরীক্ষা করতে। যে খাটে প্রতুল বাবু শুয়ে ছিলেন সেই খাটের গায়ে লেগে থাকা বিভিন্ন চিহ্ন,দেওয়ালে ও দরজায় লেগে থাকা বিভিন্ন ছাপ তাঁরা সংরক্ষণ করেন। তিন সদস্যের একটি ফরেন্সিক দল সোমবার খুনের ঘটনাস্থল পরীক্ষায় আসেন।
আরও পড়ুন- সিনেমার থ্রিলকেও হার মানাবে খড়দহের ঘটনা, ১৪ বছর আগের আরও ৪ রহস্যমৃত্যুর তদন্তে পুলিস
অপরদিকে প্রথম পক্ষের মৃত স্বামীর খুড়ততো ভাই অচ্যুত বিশ্বাস জানান, তাঁর দাদা বিয়ের সাড়ে চার বছর মধ্যে মারা গিয়েছিলেন। দাদার মৃত্যুর আগে এই সাড়ে চার বছরের মধ্যে তাঁদের পরিবারের আরও তিন জন ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন। অচ্যুত বাবু জানান দাদা ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন। কিন্ত দাদা কোনও দিন মদ খেতেন না। তবুও দাদার পেটে পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে পাওয়া গেছে এলকোহল।
আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছবি পোস্ট করায় স্ত্রীকে বেল্ট দিয়ে পিটিয়ে খুনের চেষ্টা স্বামীর
অচ্যুত বাবু বলেন, খবর দেখে দাদার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় খড়দহ থানার ওসিকে ব্যাপারটা জানাই। অচ্যুত বাবু তাঁর দাদার টাকা পয়সার বিষয়ে জানিয়েছেন, তাঁর দাদার ২৫ লক্ষ টাকা লাইফ ইন্সুরেন্স ছিলো। এছাড়াও দাদার মায়ের নামেও অনেক টাকা ইন্সুরেন্স ছিলো। এরপরে দাদার বাড়ি বিক্রির টাকা তো আছেই।