Mahakumbh 2025: ভয়ংকর অবস্থা! ফিরতে পারব ভাবিনি, কুম্ভ থেকে ফিরে শিউরে ওঠার মতো কথা শোনালেন ৫ বন্ধু

Mahakumbh 2025: ভিড়ের চাপে কেউ পড়ে গেলে তাকে তুলতে যাওয়া মানেই পদপিষ্ট হওয়া। পদপিষ্টর সময় দেখে ভয় লেগে গিয়েছিল, আমরা কি আদৌ ফিরতে পারব?

Updated By: Feb 1, 2025, 07:45 PM IST
Mahakumbh 2025: ভয়ংকর অবস্থা! ফিরতে পারব ভাবিনি, কুম্ভ থেকে ফিরে শিউরে ওঠার মতো কথা শোনালেন ৫ বন্ধু

প্রদ্যুত্ দাস: জলপাইগুড়ির পাতকাটা কলোনির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ সাহা, গিরিশ শীল, সঞ্জীবন দাস, অমিত রায় ও প্রশান্ত দাস। এই ৫ বন্ধু মিলে কুম্ভ স্নানে গিয়েছিলেন। ২৯ জানুয়ারি ভোরে যখন সঙ্গমে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে, তখন তারা সেখানেই ছিলেন। শনিবার বাড়ি ফিরে ওই ভয়াবহ ঘটনাটি বর্ণনা দিতে গিয়ে বারবার শিউরে উঠেছেন ৫ বন্ধু। ভিড়ের চাপে এক সময় দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন প্রসেনজিৎ। তিন ঘন্টা তার কোনও খোঁজ পাননি বাকিরা। পরে যদিও তার খোঁজ মেলে।

আরও পড়ুন- ট্যাক্সের পুরনো নিয়ম কি তুলে দিল সরকার! নির্মলার বাজেটে তুমুল জল্পনা

তারা জানিয়েছেন, চোখের সামনেই ত্রিবেণী সঙ্গমে কীভাবে ব্যারিকেড ভাঙাল তা তারা দেখেছেন। লাখো লাখো মানুষ। ভিড়ের চাপে কেউ পড়ে গেলে তাকে তুলতে যাওয়া মানেই পদপিষ্ট হওয়া। ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার পর শুধু মানুষের আর্তনাদ, অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেন আর স্ট্রেচার নিয়ে ছোটাছুটি, চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল আর বোধহয় বাড়ি ফিরতে পারব না। মোবাইলে চার্জ নেই। বাড়ির লোকের সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। এদিকে পেটেও সেভাবে দানাপানি পড়ছিল না। কোন মতে বিস্কুট জল খেয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে তারপর পাটনায় ফিরতে হয়েছে। যে পথ ৪ কিলোমিটারে আসা যায় সেটাই ঘুরতে হয়েছে ২৩ কিলোমিটার। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠছে ত্রিবেণী সঙ্গমের সেই ভয়াবহ ছবিটা। জলপাইগুড়িতে ফিরে কুম্ভের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এমনটাই বললেন পাটকাটা কলোনির বাসিন্দা অমিত রায়, সঞ্জীবন দাস। পাঁচ বন্ধু মিলে তারা কুম্ভ স্নানে গিয়েছিলেন। লোটা কম্বল ফেলে কোনোমতে প্রাণ হাতে বাড়ি ফিরতে পেরে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তারা।

প্রশান্ত দাস বলেন, কুম্ভ পৌঁছে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হয়েছে। মানুষ কোন দিকে যাবে, কেন দিক থেকে আসবে তা প্রশাসন বলতে পারছে না। চরম অব্যবস্থা। কেউ যদি পড়ে যায় তাহলে তার ওঠার কোনও সুযোগ নেই। ব্যাগপত্র নিয়ে চরম দুর্গতির মধ্যে পড়ছিলাম। পদপিষ্টর সময় দেখে ভয় লেগে গিয়েছিল, আমরা কি আদৌ ফিরতে পারব? ভালো করে খেতে পাইনি। জল আর ফল খেয়ে ফিরেছি। বেরিয়ে যে যাব তার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কেউ রাস্তার কথা বলতে পারেছেন না।  অসুস্থ লোক, হার্টের পেশেন্টরা যেন না যায়।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.