Mekhligunj: শীতের সোয়েটার নিয়ে শতাধিক দুঃস্থ ছাত্রীর পাশে হাসপাতালের সুপার
প্রকাশের সঙ্গেই হাত মিলিয়ে ১০৭ জন স্কুল ছাত্রীর জন্য ব্যবস্থা করেছেন শীতের সোয়েটারের। তার সঙ্গে ছিল চকলেট। এদিন সেই সবই তুলে দেওয়া হলো পড়ুয়াদের হাতে।
প্রদ্যুৎ দাস: হাসপাতাল সুপার চিকিৎসক শীতের সোয়েটার নিয়ে স্কুলের দুঃস্থ শতাধিক ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন। খুশি শিক্ষিকা থেকে ছাত্রীরা। চকলেট ডে তে শীতের নতুন সোয়েটার এবং চকলেট নিয়ে স্কুল ছাত্রীদের মাঝে চিকিৎসক। সঙ্গী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হুমাইপুর প্রকাশ ফাউন্ডেশন।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি মানেই প্রবল শীত। শীতকালে স্কুলের ছাত্রীদের পরনের গরম পোশাক নেই জানতে পারেন মেখলিগঞ্জ হাসপাতালের সুপার ডাঃ তাপস কুমার দাস। তখনই মাথায় আসে এদের পাশে দাঁড়ানোর ভাবনা। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি শহরের দেশবন্ধু নগর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের এই সমস্যার কথা জানতে পেরেছিলেন চিকিৎসক দাস। পেশাগতভাবে সমাজের অসহায় দূর্বল মানুষের প্রতি তার বিশেষ সহানুভূতির কথা সকলেই জানেন। রাস্তায় পরে থাকা বহু রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেবা করে জীবন দান করেছেন ডাঃ তাপস কুমার দাস। কিন্তু এবার তিনি চিকিৎসক সত্ত্বার বাইরে বেড়িয়ে চিন্তা করেছেন অসহায় স্কুল ছাত্রীদের কথা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি যুক্ত হুমাইপুর প্রকাশ ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে। এরপরেই উদ্যোগ নিতে দেরী করেন ডাঃ দাস। প্রকাশের সঙ্গেই হাত মিলিয়ে ১০৭ জন স্কুল ছাত্রীর জন্য ব্যবস্থা করেছেন শীতের সোয়েটারের। তার সঙ্গে ছিল চকলেট। এদিন সেই সবই তুলে দেওয়া হলো পড়ুয়াদের হাতে।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Update: অব্যাহত তাপমাত্রার পরিবর্তন, আগামী সপ্তাহে পাকাপাকি বিদায় শীতের
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই সাজো সাজো রব স্কুলে। চিকিৎসক সহ অতিথিদের স্বাগত জানাতে ত্রুটি ছিল না কিছুই। উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডাঃ দাস বলেন দারিদ্র্য থেকে বেড়িয়ে আসার একমাত্র পথ হল বই। তাই ছাত্রীদের ভালো করে লেখাপড়া করতে উৎসাহ দেন তিনি। এরপরেই এক এক করে তুলে দেওয়া হয় উপহার।
এই বিষয়ে ডাঃ তাপস কুমার দাস জানান, ‘স্কুলছাত্রীদের অবস্থা দেখে নিজের পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। তাই হুমাইপুর প্রকাশ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছি’।
আরও পড়ুন: Amartya Sen, Visva-Bharati: 'জমি ফিরিয়ে দিন', ফের অমর্ত্য সেনকে চিঠি বিশ্বভারতীর
এই বিষয়ে হুমাইপুর প্রকাশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি নব্যেন্দু মৌলিক জানান, ‘ডাঃ তাপস কুমার দাস একজন অসাধারণ মানুষ। চিকিৎসক হিসেবে তার কাজ বহুবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। আজ তিনি যা করলেন তা যে কোনও প্রশংসার তুলনায় কম’।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানান, ‘এই উদ্যোগের ফলে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা স্কুলে আসতে আরও উৎসাহ পেল’। ডাঃ দাস এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।