Chandrakona: জেনারেটর থাকলেও বিকল, রাতভর মোমবাতি-মোবাইল টর্চ জ্বালিয়েই কাজ করলেন ডাক্তার-নার্সরা
গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ না আসায় চরম সমস্যায় পড়েছে রোগী থেকে রোগীর পরিজন। এমনকি ভোগান্তির কথা স্বীকার করছেন হাসপাতালের নার্স থেকে চিকিৎসকরাও। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিজনদের দাবি, গতকাল রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা হাসপাতাল
চম্পক দত্ত: গতকাল রাতের ঝড় বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল। এদিকে বন্ধ জেনারেটর। অগত্যা রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অন্ধকারে ডুবে গোটা হাসপাতাল। মোবাইলের টর্চ বা মোমবাতি জ্বালিয়ে জরুরি বিভাগে কাজ করেন নার্সরা। বিদ্যুতের অভাবে হাসপাতালের ভিতরে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। বাইরের ট্যাপের জল ব্যবহার করতে যেতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের।গতকাল রাত আজ সকাল পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ না আসায় চরম ভোগান্তি ও ঝুঁকি নিয়ে কাজ চলছে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে।ঘটনায় ক্ষুব্ধ রোগী,রোগীর পরিজন থেকে চিকিৎসক নার্সরা। শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হয় কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় তুমুল ঝড়ো হাওয়া আর যার জেরে ঘটে বিপত্তি। চন্দ্রকোনা শহরের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন তার সঙ্গে গতকাল রাত সাড়ে ন'টার পর থেকেই থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতালে থাকা ইনভার্টার সাময়িক চললেও তাও কিছুক্ষণ পর বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও তা বন্ধ। কারণ টেন্ডার নেওয়া সংস্থা হাসপাতালে থেকে মোটা অঙ্কের বিল না পেয়ে পরিষেবা আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। সাময়িক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে পরিষেবা সচল রাখার জন্য একটি অস্থায়ী জেনারেটর থাকলেও তা বন্ধ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন-Samar Banerjee : ৯২ বছরে থামলেন অলিম্পিয়ান 'বদ্রু'
গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ না আসায় চরম সমস্যায় পড়েছে রোগী থেকে রোগীর পরিজন। এমনকি ভোগান্তির কথা স্বীকার করছেন হাসপাতালের নার্স থেকে চিকিৎসকরাও। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিজনদের দাবি, গতকাল রাত থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা হাসপাতাল। ওয়ার্ডে রোগী নিয়ে অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে এমনকি বেডে অসুস্থ শিশু অন্ধকারে বেড থেকেও পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় রাত ওয়ার্ডে বা হাসপাতালের ভিতরে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ যার জেরে রোগীকে বেডে একা রেখে আবার রোগীকে সঙ্গে নিয়েই পানীয় জলের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে।
এছাড়াও হাসপাতালের একাধিক পরিষেবা নিয়েও নানান অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। অনেকের দাবি, হাসপাতালে মিলছে না স্যালাইন হয় বাইরে থেকে আনতে হবে না হয় রোগীকে অন্যত্র স্যালাইনের অভাবে রেফার হতে হচ্ছে। আজ সকালে তেমনই একজন কেমো নেওয়া রোগীর সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে স্যালাইনের অভাবে অন্যত্র নিয়ে চলে যেতে দেখা গেল। ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজন থেকে চিকিৎসক এবং নার্সরা।হাসপাতালে অবিলম্বে স্থায়ী জেনারেটর পরিষেবা পুনরায় চালু হোক দাবি সকালের।