Bhatpara Firing: ভাটপাড়ায় ফের চলল গুলি, ইটভাটার পাশে উদ্ধার ব্যবসায়ীর মৃতদেহ
গত ৩১ আগস্ট ভাটপাড়ায় একটি গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। বারুইপাড়া এলাকায় এক বন্ধুর গুলিতে জখম হন এক যুবক। তার পেটে গুলি লাগে। অভিযোগ ওঠে শাহাজাদা নামে এক যুবক তার বন্ধু খুরশিদকে লক্ষ্য করো গুলি চালিয়ে দেয়।

বরুণ সেনগুপ্ত: ভাটপাড়ায় ফের চলল গুলি। পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ইটভাটার কাছে গুলিবিদ্ধ হন এক ব্যবসায়ী। খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিস। মৃত যুবকের নামে অরবিন্দ প্রসাদ(৩০)। মেটিয়াব্রুজে তার কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে।
আরও পড়ুন-ইউক্রেনে যুদ্ধ থামিয়েছিলেন মোদীজি, ঘরে ফিরেছিল বাংলা-সহ দেশের ২২,৫০০ পড়ুয়া: নাড্ডা
রবিবার ওই ইটভাটার পাশের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় অরবিন্দকে। মাথায় গুলি লাগায় রাস্তায় অনেকটা জায়গা রক্তে ভিজে যায়। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি গুলি ভর্তি ৭ এমএম পিস্তল। পাশাপাশি তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কাগজের টুকরো, ২ রাউন্ড গুলি। সেখানে তার নাম ঠিকানা লেখা। সঙ্গে দুজনের ফোন নম্বর। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেছে অরবিন্দ।
কেন এমন ঘটনা? নিহতের পরিবারের দাবি, গত ৩ মাস ব্যবসা বন্ধ ছিল অরবিন্দের। তাতে বেশ মুষড়ে পড়েছিল সে। তবে আত্মহত্যা করবে এমনটা ভাতেই পারছেন না তারা। পুলিস আপাতত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। ভাটপাড়ার ছোট শ্রীরামপুরের বাসিন্দা অরবিন্দের কী এমন ব্যবসায়ীক সমস্যা চরমে উঠেছিল যে সে আত্মহত্যা করল, এটা ভাবাচ্ছে পুলিসকে। পাশাপাশি এর সঙ্গে অন্য কোনও কারণ জড়িয়ে রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট ভাটপাড়ায় একটি গুলিচালনার ঘটনা ঘটে। বারুইপাড়া এলাকায় এক বন্ধুর গুলিতে জখম হন এক যুবক। তার পেটে গুলি লাগে। অভিযোগ ওঠে শাহাজাদা নামে এক যুবক তার বন্ধু খুরশিদকে লক্ষ্য করো গুলি চালিয়ে দেয়।
জুলাইয়ে এলাকার এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে ভাটপাড়ার রামনগর এলাকায়। ভাটাপাড়া তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি ঘোষের দাবি, “বিজেপি আশ্রীত দুষ্কৃতীরাই গুলি চালিয়ে মিথ্যা দোষ চাপাচ্ছে। তৃণমূলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয়। এটি একান্তই বিজেপির এলাকা দখলের লড়াই।”
অপরদিকে বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিং-এর অভিযোগ, তৃণমূল দুষ্কৃতী লাগিয়ে তাঁদের দলীয় কর্মীকে খুনের চেষ্টা করছে। পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।