Bally Missing Case: রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠতা', প্রেমের টানে 'ঘরছাড়া'; কেমন আছেন নিশ্চিন্দার দুই জা?
'প্রেমিক'দের কথা ভুলে শ্বশুরবাড়ি ফিরবেন?

নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে 'প্রণয়ের সম্পর্ক'। নতুন 'প্রেমিক'দের হাতে হাত রেখে, নতুন সংসার গড়বেন ভেবেছিলেন দুই জা। কিন্তু শুরুতেই স্বপ্ন ভেঙে খান খান! ধরা পড়ে যান দুই জা, অনন্য়া ও রিয়া এবং তাঁদের দুই রাজমিস্ত্রি 'প্রেমিক' শুভজিৎ ও চন্দ্রশেখর। এরপর বিচ্ছেদ। বহুদিন ধরে তাঁদের কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। কথাও হয়নি। এখন কেমন রয়েছেন দুই জা, অনন্য়া ও রিয়া?
জানা গিয়েছে, ধরা পড়ে যাওয়ার পর থেকেই লিলুয়ার চকপাড়ার আনন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে বাপের বাড়িতে রয়েছেন অনন্যা। তাঁর সঙ্গেই থাকেন অপর জা রিয়াও। রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে 'ঘরছাড়া' দুই বউকে কি ফিরিয়ে নেবেন স্বামীরা? এখনও যথেষ্ট ধন্দের মধ্যে বাপের বাড়ির পরিবার। এই প্রশ্ন করা হলে, মুখ খুলতে চাননি অনন্যার বাবা। উল্টে স্ত্রীর দিকে ইশারা করে দেন তিন। অনন্যার মা জানান, পরিস্থিতি খুব খারাপ। কিছুই বলা যাচ্ছে না।
এই বিষয়ে মা কিছু বলুক, অনন্যাও তা চান না। মা'কে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা দেন তিনি। আনন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মণিকা দে জানান, শ্বশুর বাড়ির সঙ্গে কথা বার্তা চলছে। আশা করা যায় সমস্যা মিটে যাবে। সম্প্রতি হাওড়া জেলা আদালতে এসেছিলেন দুই 'প্রেমিক' রাজমিস্ত্রি শুভজিৎ দাস এবং চন্দ্রশেখর মজুমদার। তাঁরা বলেন, "রাজমিস্ত্রি বলে আমরা কি মানুষ নই? আমাদের কি মন নেই না কি আমাদের ভালবাসতে নেই?"
প্রসঙ্গত, ১৫ ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কেনাকাটার করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন কর্মকার পরিবারের ২ বউ। ৭ বছরের নাতিকে সঙ্গে নিয়েই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন বড় বউ অনন্যা কর্মকার ও ছোট বউ রিয়া কর্মকার। তারপর সেদিন বিকাল থেকেই তাদের আর কোনও খোঁজ পায়নি পরিবার। একদিকে মোবাইল সুইচড অফ। অন্যদিকে, বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতের বাড়ি গিয়েও কোনও হদিশ মেলেনি। শেষবারের মত তাদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যায় শ্রীরামপুরের রয় এমসি ভাদুড়ি লাহিড়ী স্ট্রিটে। এই পরিস্থিতিতে তদন্তে নেমে একটি ফোন নম্বর উঠে আসে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে।
ওই নম্বরের সূত্র ধরেই পুলিস জানতে পারে যে, মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা ২ রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন ২ বউ। মাস ছয়েক আগে নিশ্চিন্দার কর্মকার বাড়ি নতুন করে তৈরি করা হয়। সেইসময় বাড়িতে কাজ করতে এসেছিলেন সুভাষ ও শেখর নামে ২ রাজমিস্ত্রি। তখনই বাড়ির ২ বউয়ের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠতা' হয় দু'জনের। ২ রাজমিস্ত্রির সঙ্গে 'প্রণয়ের সম্পর্ক' গড়ে ওঠে বাড়ির ২ বউয়ের। এরপরই সুতিতে সুভাষের বাড়িতে পুলিস অভিযান চালায়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁরা আবার মুম্বইতে পালিয়ে গিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, মুম্বইতে তাঁদের টাকাপয়সার অভাব হয়। টাকার যোগানে টান পড়তেই ৪ জনে আবার এরাজ্যে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। পুলিসের কাছে খবর ছিল যে, আসানসোলে তাঁরা ট্রেন পরিবর্তন করবেন। সেইমতো আঁটঘাট বেঁধে নামে পুলিস। 'পাখি' ধরতে আসানসোল স্টেশনে ফাঁদ পাতে পুলিস। পরিকল্পনা মতই ধরা পড়ে নাতি সহ ২ রাজমিস্ত্রি ও ২ বউ।
আরও পড়ুন: Tiger Census: বক্সায় শুরু বাঘসুমারি; হিসেব নেওয়া হবে হাতিরও!
আরও পড়ুন: Child Death: চারদিন নিখোঁজ, শেষপর্যন্ত একমাসের শিশুকন্যার মৃতদেহ মিলল বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে