রাজ্য চাই রাজ্য...

ভারতমাতার নতুন সন্তান তেলেঙ্গানার জন্মের পরেই জোরাল হচ্ছে দাবি। দেশে আরও রাজ্যের দাবিতে জোরদার হচ্ছে আন্দোলন। দেশজুড়ে এখন জোরালো স্লোগান রাজ্য চাই রাজ্য।

Updated By: Jul 31, 2013, 02:41 PM IST

ভারতমাতার নতুন সন্তান তেলেঙ্গানার জন্মের পরেই জোরাল হচ্ছে দাবি। দেশে আরও রাজ্যের দাবিতে জোরদার হচ্ছে আন্দোলন। দেশজুড়ে এখন জোরালো স্লোগান রাজ্য চাই রাজ্য।
যে রাজ্যগুলো গঠনের এখন দাবি উঠছে-- গোর্খাল্যান্ড, বিদর্ভ, হরিত্‍প্রদেশ, বুন্দেলখণ্ড, পুরভাঞ্চল, বুন্দেলখণ্ড, মধ্য উত্তরপ্রদেশ, জম্মু -কাশ্মীর ভেঙে আলাদা
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন রাজ্য গঠনের দাবি সবচেয়ে বেশি জোরালো।
গোর্খাল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ)-দার্জিলিং ও ডুয়ার্স অঞ্চলের নেপালি-ভাষাভাষী গোর্খা জনগোষ্ঠী নিজেদের জন্য যে স্বতন্ত্র রাজ্যের দাবি করছিলেন, তার প্রস্তাবিত নাম ছিল গোর্খাল্যান্ড। ১৯৮০-এর দশক থেকে গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়, নেতৃত্বে ছিলেন সুভাষ ঘিসিং। গোর্খাল্যান্ড নামটি গোর্খা ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট নেতা সুভাষ ঘিসিং-এর দেওয়া।
১৯৮৮ সালে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পর্ষদ (ডিজিএইচসি) স্থাপিত হলে আন্দোলন থিতিয়ে যায়। সুভাষ ঘিসিং-এর পতন পর ২০০৭ সালে বিমল গুরুং-এর নেতৃত্বে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নামে আর একটি রাজনৈতিক দল গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে দ্বিতীয় আন্দোলন শুরু করে।
মোর্চা নেতাদের গোর্খাল্যান্ডের দাবি ১০৭ বছরের পুরোনো৷ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য গোর্খাল্যান্ডকে আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি না দেওয়া হলে অন্যায় হবে।
বিদর্ভ (মহারাষ্ট্র)-মহারাষ্ট্রের পূর্ব দিকের এই জেলাটিকে পৃথক রাজ্যের দাবিটা উঠছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বানওয়ারিলাল পুরোহিত আলাদা দল গঠন করে বিদর্ভকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবির আন্দোলন তুঙ্গে তোলেন। ১৯৯২ সালে বিদর্ভকে আলদা রাজ্যের দাবিকে বিজেপি সমর্থন জানায়। যদিও কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরও বিদর্ভ আলাদা রাজ্য হতে পারেনি। আগামী রবিবার দিল্লির যন্তরমন্তরে বড় সভা করে বিদর্ভকে আলাদা রাজ্য করার আন্দোলন তীবর্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বিদর্ভ আলাদা রাজ্য হবে কিনা তার অনেকটাই নির্ভর করছে এখন এই আন্দোলনে শিবসেনা সামিল হবে কিনা।
বনভূমি, পাহাড়ে ঘেরা সুন্দর বিদর্ভ কয়লা, খনিজ পদার্থের মত প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ হলেও উন্নয়নের আলো থেকে বঞ্চিত। বিদর্ভের মধ্যেই আছে কমলালেবুর শহর নাগপুর। বিদর্ভ জেলায় আছে ১১টি জেলা।

হরিত্‍প্রদেশ (উত্তরপ্রদেশ)-উত্তরপ্রদেশ ভেঙে চারটি নতুন রাজ্য গঠনের প্রস্তাব ওঠে। এদের মধ্যে সবচেয়ে জোরালো হরিত্‍প্রদেশের দাবি। হরিত্‍প্রদেশে ২২টি জেলা থাকবে এমন পরিকল্পনাও তৈরি। হরিত্‍প্রদেশকে আলাদা রাজ্য করার আন্দোলনে প্রথম সারিতে আছেন আছেন আরএলডি পার্টি প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজিত সিং। মায়াবতীও চান হরিত্‍প্রদেশ আলাদা রাজ্য হোক। তবে রাজ্যের শাসক দল সমাজবাদী পার্টি তীব্র বিরোধী। কংগ্রেস, বিজেপিও পাশে নেই।
বুন্দেলখণ্ড (উত্তরপ্রদেশ)- মায়াবতীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বুন্দলখণ্ড আলাদা রাজ্য হোক। ক্ষমতায় এসে বুন্দেলাখণ্ডকে আলাদা রাজ্য করতে অনেকটা এগিয়েও গিযেছিলেন মায়াবতী। তবে যখন প্রক্রিয়া শুরু করেন তখনই ক্ষমতা হারান। রাহুল গাঁধী নিজেই বারবার বুন্দেলখণ্ড রাজ্য গঠনের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
পুরভাঞ্চল (উত্তরপ্রদেশ)- উত্তরপ্রদেশ ভেঙে চাই পুরভাঞ্চল। এই দাবিটা অনেক পরে উঠলেও মায়াবতী চেয়ছেন উত্তরপ্রদেশ ভাঙলে পুরভাঞ্চলকেও পৃথক রাজ্য করতে হবে।
মধ্য উত্তরপ্রদেশ (উত্তরপ্রদেশ)-উত্তরপ্রদেশকে চার টুকরো করার প্রস্তাবে এটা একটা টুকরো।
জম্মু (জম্মু কাশ্মীর)-- জম্মু আর কাশ্মীর দুটো আলাদা করতে হবে। এমন দাবি তুলল শিবসেনা। জম্মুতে বেশ কতগুলো বড় মিছিলও হয়েছে পৃথক রাজ্যের দাবিতে। যুক্তি জম্মু-কাশ্মীরকে আলাদা করা গেলে উন্নয়নের কাজে গতি আসবে।
কাশ্মীর (জম্মু, কাশ্মীর)-- জম্মু আর কাশ্মীর দুটো আলাদা করতে হবে। এমন দাবি তুলল শিবসেনা। জম্মুতে বেশ কতগুলো বড় মিছিলও হয়েছে পৃথক রাজ্যের দাবিতে। যুক্তি জম্মু-কাশ্মীরকে আলাদা করা গেলে উন্নয়নের কাজে গতি আসবে।

.