সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে তাত্ক্ষণিক তিন তালাক অর্ডিন্যান্স
সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন জানিয়েছে কেরলের এক সুন্নি মুসলিম সংগঠন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তাত্ক্ষণিক তিন তালাককে শাস্তি যোগ্য অপরাধ বলে চিহ্নিত করা কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্স-কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালো কেরলের এক সুন্নি মুসলিম সংগঠন। কেন্দ্রের "মুসলিম উইমেন (প্রোটেকশন অফ রাইটস অ্যান্ড ম্যারেজ) অর্ডিন্যান্স, ২০১৮" ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৫ এবং ২১ ধারা লঙ্ঘন করছে বলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সমস্থ কেরালা জামায়েত উল-উলমা নামের সংগঠনটি। তাদের দাবি, এই অর্ডিন্যান্সকে অবিলম্বে খারিজ করে দেওয়া হোক।
#TripleTalaq ordinance challenged in the Supreme Court. Samastha Kerala Jam’eyyath ul-Ulama, a religious organisation of Sunni Muslim scholars and clerics has filed a petition pic.twitter.com/bTv4lkXRVt
— ANI (@ANI) September 25, 2018
প্রসঙ্গত, তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বা তালাক-ই-বিদ্দত-কে অসাংবিধানিক হিসাবে ইতিমধ্যে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রকে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের নির্দেশও দেয় শীর্ষ আদালত। এরপরই বিল তৈরি করে মোদী সরকার। সেই "মুসলিম উইমেন (প্রোটেকশন অফ রাইটস অ্যান্ড ম্যারেজ)বিল, ২০১৭" লোকসভায় পাশও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, রাজ্যসভায় মোদী সরকার সংখ্যা লঘু হওয়ায় বিলটি বিরোধীদের আপত্তিতে আটকে যায়। তারা বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি জানায়। এরপর বিলটিতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন করা হয়। বলা হয়, কেবলমাত্র আলাকপ্রাপ্ত মহিলা অথবা তাঁর নিকটাত্মীয়রাই অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। অভিযুক্তের জামিনের সংস্থানও রাখা হয় নয়া খসড়ায়। এক্ষেত্রে পুলিস জামিন দিতে পারবে না, জামিন দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটকে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বিলটি সংসদে পাশ না করিয়ে অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্স আকারে নিয়ে আসে সরকার। এর ফলে, বিলটি আগামী ছয় মাসের জন্য আইনে পরিণত হয়ে যায়। তবে, সরকারকে এই সময়কালের মধ্যে বিলটিকে সংসদে পাশ করাতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে বম্বে হাইকোর্টেও এই অর্ডিন্যান্সকে 'অবৈধ, অন্তঃসার শূন্য, অযৌক্তিক এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ' বলে চ্যালেঞ্জ করেছে একটি মুসলিম সংগঠন। আরও পড়ুন- তাত্ক্ষণিক তিন তালাক শাস্তিযোগ্য অপরাধ, অর্ডিন্যান্সে সায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার