সংসদে চুপ, ধরনায় কংগ্রেসের পাশে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভোলবদল তৃণমূলের!

ললিতগেট ও ব্যপম ইস্যুতে তোলপাড় হয়েছে সংসদ। কিন্তু বিজেপিকে বার্তা দিতে আগাগোড়াই নীরব ছিল তৃণমূল। অথচ কংগ্রেস সংসদে বিজেপিকে কোণঠাসা করতেই মমতা ব্রিগেডের সুরবদল। তবে কি দুনৌকায় পা রেখে চলাই এখন তৃণমূলের কৌশল? উঠছে প্রশ্ন।
বাদল অধিবেশনে শুরু থেকেই ললিতগেট ও ব্যপম ইস্যুতে সংসদে রণং দেহি কংগ্রেস। তৃণমূল স্রেফ নীরব। লাগাতার বিক্ষোভে শেষপর্যন্ত সাসপেন্ড কংগ্রেসের পঁচিশ সাংসদ। সেদিন কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল। কিন্তু ওই সময় সংসদ চত্বরে কংগ্রেসের ধরনার ধারেকাছেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। মমতা দিল্লি গিয়েও বিজেপির কোনও কেলেঙ্কারি নিয়েই মুখ খোলেননি। সংসদে বুধবার তৃণমূলের বক্তব্যও ছিল নেহাতই নির্বিষ।
চব্বিশ ঘণ্টা না কাটতেই তৃণমূলের ভোলবদল। বৃহস্পতিবার সংসদ চত্বরে কংগ্রেসের দুর্নীতিবিরোধী ধরনায় যোগ দেয় তৃণমূল। এমনকী, ব্যপমকাণ্ডেও মুখ খোলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা। কিন্তু হঠাত্ই কেন সুরবদল ? জল্পনা তুঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বন্যাত্রাণসহ নানা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তেমন কোনও আশ্বাস পাননি মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ফায়দা তুলছে কংগ্রেস। সামনেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে বার্তা দিতেই তৃণমূল রাতারাতি অবস্থান বদল করল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।