তৃণমূলের সুরেই ফের সুর মেলাল বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি `ভাবী প্রধানমন্ত্রী`-র
তৃণমূলের সুরেই ফের সুর মেলাল বিজেপি। তৃণমূলের মতো বিজেপিও মনে করে এই বিল এনে রাজ্যের এক্তিয়ারে নাক গলাতে চাইছে কেন্দ্র। বিলের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন নরেন্দ্র মোদী। সরব হয়েছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ফলে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সচল রাখার আবেদন করলেও সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রতিরোধ বিল ঘিরে উত্তপ্ত হতে চলেছে সংসদের চলতি অধিবেশন।
তৃণমূলের সুরেই ফের সুর মেলাল বিজেপি। তৃণমূলের মতো বিজেপিও মনে করে এই বিল এনে রাজ্যের এক্তিয়ারে নাক গলাতে চাইছে কেন্দ্র। বিলের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন নরেন্দ্র মোদী। সরব হয়েছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ফলে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সচল রাখার আবেদন করলেও সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রতিরোধ বিল ঘিরে উত্তপ্ত হতে চলেছে সংসদের চলতি অধিবেশন।
সাম্প্রতিককালে একাধিক ইস্যুতে একই পথে হেঁটেছে তৃণমূল ও বিজেপি। এবার সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রতিরোধ বিল ঘিরেও দুই শিবিরের এক সুর। এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবারই বিলের কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন নরেন্দ্র মোদী। টুইটও করেছেন তিনি। টুইটে মোদী লিখেছেন, সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রতিরোধ বিলটি খুবই আগোছালো। বিলের খসড়া দুর্বল । যেসময়ে বিলটি আনা হচ্ছে তাও সন্দেহজনক।সত্যিকারের উদ্বেগ ধরা পড়েনি বিলে। এরপিছনে রয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ ও ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিলটি নিয়ে প্রায় একই মত জানিয়েছিলেন। ৩০ নভেম্বর ফেসবুকে তিনি লেখেন এই বিল রাজ্যের অধিকারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ। রাজ্যের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে না নেওয়াই উচিত। সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রতিরোধ বিলের বিরোধিতাও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিল ঘিরে সংসদের চলতি অধিবেশন উত্তপ্ত হতে চলেছে তা একপ্রকার স্পষ্ট। সেটা বুঝতে পেরেই সংসদ সচল রাখার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এই বিলের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী তথা আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি৷ জবাবে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেছেন, সব বিলের বিষয়েই সহমতে আসার চেষ্টা করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর আবেদন কতটা কাজে আসবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে । কারণ তৃণমূলের পর বিল নিয়ে চড়া সুর বিজেপির। এই বিল নিয়ে সরকারের বক্তব্যের উল্টো মত আরও কয়েকটি োধী দলগুলির। বৃহস্পতিবারই বিলের কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন নরেন্দ্র মোদী। টুইটও করেছেন তিনি।
মোদীর সমালোচনার জবাব দিতে পাল্টা আক্রমণের রাস্তা বেছে নিয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজীব শুক্লা বলেছেন, যে কোনওকিছু নিয়ে রাজনীতি করাই মোদীর স্বভাব।
কংগ্রেসের সুরে মোদীকে বিঁধেছেন জে ডিইউ নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি। গুজরাট হিংসার প্রসঙ্গ টেনে সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকেই তিনি নিশানা করেছেন।