কীভাবে হয়েছে একের পর এক খুন, বলল ধৃত উদয়ন দাস

আকাঙ্ক্ষা হত্যার তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। স্ত্রীর মতোই খুন করেছে বাবা-মাকেও। তাঁদের দেহ পোঁতা রয়েছে পৈতৃক বাড়ি বাগানে। জেরায় স্বীকার অভিযুক্ত উদয়ন দাসের। বাংলা ছবি ৮৯। বাবা-মাকে খুনের কথা স্বীকার করে শাশ্বত। বাস্তব কল্পনার থেকেও ভয়ঙ্কর। বাবা-মা কে মেরে পুঁতে ফেলার কথা জানাল উদয়ন।

Updated By: Feb 4, 2017, 10:20 PM IST
কীভাবে হয়েছে একের পর এক খুন, বলল ধৃত উদয়ন দাস
ছবিটি প্রতীকী

ওয়েব ডেস্ক : আকাঙ্ক্ষা হত্যার তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়। স্ত্রীর মতোই খুন করেছে বাবা-মাকেও। তাঁদের দেহ পোঁতা রয়েছে পৈতৃক বাড়ি বাগানে। জেরায় স্বীকার অভিযুক্ত উদয়ন দাসের। বাংলা ছবি ৮৯। বাবা-মাকে খুনের কথা স্বীকার করে শাশ্বত। বাস্তব কল্পনার থেকেও ভয়ঙ্কর। বাবা-মা কে মেরে পুঁতে ফেলার কথা জানাল উদয়ন।

আরও পড়ুন- কেনও আকাঙ্ক্ষার আগে বাবা-মাকে খুন? প্রশ্ন উঠছে উদয়ন দাসের মানসিক স্থিতি নিয়ে

স্ত্রী  আকাঙ্ক্ষাকে খুন করে ঘরেই পুঁতে ফেলে উদয়ন। তার ওপর মার্বেলের বেদি বাঁধিয়ে দেয়। সেই রহস্য ফাঁসের সূত্র ধরেই ফাঁস হল আরও এক রহস্য। ২০১০ সালে নিজের বাবা-মাকেও গলা টিপে হত্যার কথা স্বীকার করল উদয়ন। রায়পুরে পৈতৃক ভিটেয় বাবা-মাকে খুনের পর দেহ পুঁতে দিয়েছে বাগানে। জেরায় পুলিসকে জানিয়েছেন  উদয়ন। কোন সূত্র এত বড় স্বীকারোক্তি? সেই ধারাবাহিকতাও কম চাঞ্চল্যকর নয়। ট্রানজিট রিমান্ডে উদয়নকে পশ্চিমবঙ্গে আনার কথা। তাই উদয়নের বাবা-মায়ের খোঁজ শুরু করে পুলিস।

উদয়ন পুলিসকে জানায়, তার বাবা মারা গেছেন। মা থাকেন আমেরিকায়। কিন্তু, মায়ের ঠিকানা বা ফোন নম্বর, কোনওটাই দিতে পারেনি আকাঙ্ক্ষা হত্যায় অভিযুক্ত। উদয়ন দাবি করে, সে একাধিকবার মায়ের কাছে গিয়ে থেকেছে। কিন্তু, পুলিস তার পাসপোর্টে বিদেশযাত্রার উল্লেখ পায়নি। এরপর চেপে ধরতেই খুনের কথা স্বীকার করে উদয়ন। কিন্তু, উদয়নের এই বয়ানেও রয়েছে বিভ্রান্তি। কারণ একবার সে বলছে বাবা-মার দেহ পোঁতা রয়েছে বাড়ির বাগানে। একবার বলছে পার্কে পোঁতা রয়েছে দেহ। সত্যের গোড়ার পৌছতে উদয়নকে নিয়ে রায়পুর যাচ্ছে ভোপাল পুলিসের একটি দল। বাঁকুড়া থানার তদন্তকারী অফিসাররাও সঙ্গে যাচ্ছেন। কারণ উদয়নকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছেন না তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন- আকাঙ্ক্ষা হত্যার তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়

পুলিসের সন্দেহ, উদয়ন মানসিক বিকারগ্রস্ত। তাই তার দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আকাঙ্ক্ষার পর ভোপালের এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় উদয়নের। সেই তরুণীও পুলিসকে জানিয়েছেন, উদয়নের বাবা-মাকে তিনি কখনও দেখেননি। উদয়নের সঙ্গে আর কোনও তরুণীর পরিচয় হয়েছে কি না, আর কাউকে সে খুন করেছে কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে।

ট্রানজিট রিমান্ডে থাকলেও উদয়নকে এখনই এরাজ্যে আনা হচ্ছে না। রবিবার সকালে তাকে নিয়ে রায়পুরে পৌছবে পুলিস। ঘটনাপ্রবাহ কোনদিকে এগোয় তা খতিয়ে দেখার পরেই উদয়নকে রাজ্যে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।।

.