কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সংরক্ষণ পেতে চলেছেন সবর্ণরা
সকল মন্ত্রকের অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিতে গরিবদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে বলে জারি হয়েছে নির্দেশিকা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসদে বিল পাশ হয়েছে আগেই। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরও করে দিয়েছেন বিলে। দেরি না করে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চাকরিতে সাধারণ সংরক্ষণের সুবিধা পেতে চলেছেন গরিব চাকরিপ্রার্থীরা।
সাধারণ শ্রেণির গরিবদের জন্য সংসদের উভয়কক্ষে সংরক্ষণ বিল পাশ করিয়েছে মোদী সরকার। সেই বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। দেশে মোট ৩৩৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রয়েছে। ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ওই সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১৩.৭৩ কোটি টাকা। ওই সংস্থাগুলিতে সাধারণদের সংরক্ষণের নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সকল মন্ত্রকের কাছে অনুরোধ, তাদের অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিতে গরিবদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সকল নিয়োগপ্রক্রিয়া এই নিয়ম মেনে চলবে হবে সংস্থাগুলিকে। এব্যাপারে প্রতি ১৫ দিন অন্তর রিপোর্ট দিতে হবে তাদের।
এর আগে সব মন্ত্রকের বিস্তারিত বিবরণ-সহ নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল কর্মী এবং প্রশিক্ষণ মন্ত্রক। কোনওরকম জটিলতা ছাড়াই সাধারণদের সংরক্ষণ লাগু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান সংরক্ষণের আওতায় না আসা এমন গরিব পরিবারের যুবক-যুবতীরা সংরক্ষণ পেতে চলেছেন। শর্ত, পরিবারের বার্ষিক আয় হতে হবে ৮ লক্ষ টাকার নীচে। পাঁচ একরের কম কৃষি জমি থাকতে হবে। এক হাজার ফুটের অধিক ফ্ল্যাটে থাকলেও মিলবে না সংরক্ষণের সুবিধা।
মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে সুযোগ পাবেন গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েরা।
আরও পড়ুন- রেডমি-রিয়েলমি-কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সোমবার জলের দরে এই ফোন নিয়ে আসছে স্যামসং
সংরক্ষণ নিয়ে বিরোধীরা ভুল বোঝাচ্ছে বলে এদিন দাবি করেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, তপশিলী জাতি বা উপজাতির অধিকার কাড়েনি সরকার। তাঁরা আগের মতোই সুবিধা পাবেন। অতিরিক্ত সংরক্ষণের সুবিধা পেতে চলেছেন গরিব পরিবারের যুবক-যুবতীরা।