মেয়েকে মন্ত্রিত্ব ও বিজেপির সঙ্গে কাজ করা অফার দিয়েছিলেন মোদী: বিস্ফোরক পাওয়ার
এক মারাঠা নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাত্কারে এনসিপি সুপ্রিমো জানান, এক সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁকে জানিয়েছিলাম, তাঁদের মধ্য ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল, তা বলে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদন: সিংহাসন দখল নিয়ে মহারাষ্ট্রে যখন টালমাটাল, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। তখনই জল্পনা তৈরি হয়, রাজনীতির নয়া সমীকরণ গড়তে পারেন মোদী-পাওয়ার! এমনও খবর প্রকাশ হয়, শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার অফারও দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর তরফে। তবে, সবই ছিল জল্পনা। কিন্তু যা রটে, তার কিছুটা যে বটে- এই প্রবাদই প্রমাণ হল খোদ শরদ পাওয়ারের সাম্প্রতিক স্বীকারোক্তিতে!
এক মারাঠা নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাত্কারে এনসিপি সুপ্রিমো জানান, এক সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁকে জানিয়েছিলাম, তাঁদের মধ্য ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল, তা বলে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। এই বলেই ক্ষান্ত হননি ‘মহারাষ্ট্রের স্ট্রংম্যান’, তাঁর দাবি, মেয়ে সুপ্রিয়া সুলেকে মন্ত্রিত্ব অফার করা হয়েছিল। তবে, রাষ্ট্রপতির অফার বিষয়টি অস্বীকার করেন শরদ পাওয়ার। এই প্রস্তাব সে দিন নিজের বাসভবনে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন কিনা! তা স্পষ্ট নয়। তবে, বিজেপি যে কাছে টানতে প্রলোভন দেখিয়েছিল, এ পাওয়ারের স্বীকারোক্তিতেই স্পষ্ট।
আরও পড়ুন- চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়ারের হাত ধরেই চাঁদের মাটিতে খোঁজ বিক্রমের, স্বীকার করে নিল নাসা
শরদের মন গলাতে না পারলেও, তাঁর ভ্রাতৃষ্পুত্র অজিত পাওয়ারকে কাছে টানতে সক্ষম হয় বিজেপি। অজিতের সমর্থনে রাতারাতি সরকার গড়ে ফেলে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অজিত পাওয়ার শপথও নেন। অজিতের এই সিদ্ধান্তে রুষ্ট হন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শিবসেনা, কংগ্রেসকে পাশে নিয়ে তারাই সরকার গড়বে। বাস্তবে তাই ঘটে, মাঝখান থেকে স্বপ্নভঙ্গ হয় দেবেন্দ্র ফডণবীসের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার।