‘মেরা ম্যাডাম মহান’, সুষমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরলেন আনসারির মা
ছয় বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মঙ্গলবার দেশে ফেরেন মুম্বইয়ের ইঞ্জিনিয়ার আনসারি। ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। ২০১২ সালে হামিদ আনসারিকে ‘ভারতের গুপ্তচর’ সন্দেহে গ্রেফতার করে পাক নিরাপত্তারক্ষী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চোখের পাতা ভারী হয়ে গিয়েছে হামিদ নিহাল আনসারির। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে দেখে আর আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। কেঁদেই ফেললেন। হামিদের পিঠ চাপড়ে সান্ত্বনা দিতে থাকেন বিদেশমন্ত্রী। আনসারির মা তো বলেই ফেলেন, “আপনি মহান ম্যাম।” বুধবার এমনই আবেগ বিহ্বল পরিবেশ দেখা গেল বিদেশমন্ত্রকে।
আরও পড়ুন- আইনের ফাঁক গলে কীভাবে বেঁচে যাচ্ছে কাশ্মীরি পাথরবাজরা, জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
ছয় বছর পর পাকিস্তান জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মঙ্গলবার দেশে ফেরেন মুম্বইয়ের ইঞ্জিনিয়ার আনসারি। ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। ২০১২ সালে হামিদ আনসারিকে ‘ভারতের গুপ্তচর’ সন্দেহে গ্রেফতার করে পাক নিরাপত্তারক্ষী। যদিও পরিবারের দাবি, ওই বছর নভেম্বরে কর্মসংস্থানের খোঁজে আফগানিস্তান চলে গিয়েছিলেন আনসারি। এরপর আনসারির আর খোঁজ পাইনি তাঁর পরিবার। পরে জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া এক পাক তরুণীর প্রেমে পড়ে আফগানিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে পেশোয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। জাল পাসপোর্ট বানিয়ে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করায় তাঁকে গ্রেফতার করে নিরাপত্তারক্ষীরা।
Welcome home, son!
Indian national, Hamid Ansari returns home after six years of incarceration in Pakistan. EAM @SushmaSwaraj warmly welcomed him in Delhi today. pic.twitter.com/vM4HXF2ORc— Raveesh Kumar (@MEAIndia) December 19, 2018
আরও পড়ুন- অমিত শাহের বৈঠক বাতিল! কার্যত শূন্য হাতেই দিল্লি থেকে ফিরল বঙ্গ বিজেপি
চরবৃত্তি সন্দেহে আনসারিকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় পাক সেনা আদালত। শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তাঁকে জেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একাধিক চিঠি চালাচালির পর গত বৃহস্পতিবার পেশোয়ার হাইকোর্ট আনসারির মুক্তির জন্য পাক সরকারকে নির্দেশ দেয়। গত সোমবার, পাকিস্তানের তরফে আনসারির মুক্তির একটি চিঠি পৌঁছয় ভারতের বিদেশমন্ত্রকে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, “পরিবারের কাছে দারুণ সুখবর। পাক জেলে ছয় বছর রাখা হয় আনসারিকে। মঙ্গলবার তাঁকে দেশে ফেরানো হবে।”
এ দিন বিদেশমন্ত্রীকে দেখে আনসারির মা ভেজা গলায় বলেন, “আমার ভারত মহান। আমার ম্যাডাম মহান। ম্যাডামের জন্য সব কিছু হয়েছে।”