কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদের সঙ্গে জঙ্গি যোগ, দাবি বিজেপির
২০১২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৭২জন জঙ্গিকে দমন করা সম্ভব হয়েছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদন : কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার যোগ রয়েছে বলে এবার দাবি করল বিজেপি। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ''গোলাম নবি আজাদের কথাকে সমর্থন করে বিবৃতি দিচ্ছে জঙ্গি সংগঠন। এর থেকেই বোঝা যায় কংগ্রেসের সঙ্গে কাদের যোগ রয়েছে।'' প্রসঙ্গত জম্মু ও কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর অভিযান নিয়ে করা গোলাম নবি আজাদের মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে লস্কর-ই-তইবা। এরপরই এই ইস্যুতে সরব হয়েছে বিজেপি।
২০১৬ সাল থেকে অশান্ত জম্মু ও কাশ্মীর। অনুপ্রবেশ থেকে সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত গোটা উপত্যকা। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে সন্ত্রাস দমনে নেমেছে কেন্দ্র। কাশ্মীরে চলছে সেনা অভিযান। আর এই অভিযানকে নিয়েই কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা আজাদ। তাঁর মন্তব্য, ''এই অভিযানের ফলে যতটা জঙ্গি নিধন হচ্ছে, তার থেকে বেশি মৃত্যু হচ্ছে উপত্যকার সাধারণ মানুষের।''
আরও পড়ুন- মুশারফকে সমর্থন করে বিতর্কের ঝড়ে কংগ্রেস নেতা
এদিকে, কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেছে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি সংগঠনের মুখপাত্র আব্দুল্লা গজনবি। তার কথায়, আমরা কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদের মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন করি। জম্মু ও কাশ্মীরে কেন্দ্র যা করছে তা একপ্রকার অন্তর্ঘাতেরই সামিল। এতে কষ্ট বাড়ছে সেখানকার সাধারণ মানুষেরই। আজাদের মন্তব্য ও তাকে লস্করের মতো জঙ্গি সংগঠনের সমর্থনকে ইতিমধ্যেই ইস্যু বানিয়ে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ২০১২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে ৭২জন জঙ্গিকে দমন করা সম্ভব হয়েছিল। তারপরের বছরই ৬৭ জন জঙ্গিকে নিধন করা হয়। অন্যদিকে, ২০১৪ সালে মোদী সরকার দায়িত্বে আসার পরই ১১০ জন জঙ্গি নিধন করা হয়। সেই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত ৭৫জন জঙ্গিকে নিধন করেছে সেনাবাহিনী।
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি নাশকতা সহ একাধিক ইস্যুকে ঘিরে পিডিপি ও বিজেপির মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। অবশেষে পিডিপির থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় বিজেপি। বাধ্য হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। এরপরই কেন্দ্রের জঙ্গি দমননীকি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।