পঞ্জাবের কাপুরথালায় বন্দিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালেন জেলার ও জেলরক্ষীরা
বন্দিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালেন জেলার ও জেলরক্ষীরা। নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাবের কাপুরথালা শহরের মর্ডান জেলে। প্রায় পনের জন বন্দি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি আহত বন্দিদের।
বন্দিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালালেন জেলার ও জেলরক্ষীরা। নজিরবিহীন এই ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাবের কাপুরথালা শহরের মর্ডান জেলে। প্রায় পনের জন বন্দি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে খবর। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি আহত বন্দিদের। জেল কর্তৃপক্ষ ও বন্দিদের মধ্যে বিবাদ এবং তা থেকে দুপক্ষের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পরই এঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে পুলিসের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। রবিবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পঞ্জাবের কাপুরথালা শহরের মর্ডান জেল। বাইরে পুলিস ভ্যানের সারি। জেলের ভিতর থেকে এক এক করে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্দিদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হতে থাকে। দেখা যায় কারোর পায়ে, তো কারোর পিঠে কিংবা কাঁধে গুলি লেগেছে। কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তথ্যই তো তখনও সামনে আসা বাকি। জানা যায়, জেলার ও কারারক্ষীরাই জেলের ভিতরে বন্দিরের ওপর গুলি চালিয়েছে। গুলিবর্ষণের কারণ, জেলের কয়েকজন ওয়ার্ডেন ও বন্দিদের একাংশের মধ্যে ঝামেলা। অভিযোগ, উত্তেজনা বাড়তে বাড়তে একসময় এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে জেল কর্তৃপক্ষ বন্দিদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। এতে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ। চিকিত্সার জন্য কাছেই সরকারি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত বন্দিদের। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, প্রায় দু-ঘন্টার বেশি সময় ধরে তাঁরা গুলির শব্দ পেয়েছেন। জেলের ভিতরে ওইসময় আগুন লেগে গিয়েছিল বলেও দাবি তাঁদের। পরে দমকলের ঘটনাস্থলে পৌঁছনো সেই দাবিকেই সত্যি বলে প্রমাণ করে।