বেআইনি নির্মাণকে রাতারাতি বানিয়ে ফেলা হয়েছিল মসজিদ, সিল করে দখল নিল পুরনিগম
ওই মসজিদ সিল করার পর তার আসপাশ থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিস। সরিয়ে ফেলা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের মঞ্চও। মসজিদে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লাউড স্পিকারে আজানকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে বড় পদক্ষেপ করল গুরুগ্রাম পুরনিগম। শুক্রবার গুরুগ্রামে বেআইনি তিন তলা মসজিদটি সিল করে দিয়েছে স্থানীয় পুরনিগম। একই সঙ্গে মসজিদ সরানো যাবে না এই দাবিতে বিক্ষোভকারীদের এলাকা থেকে হঠিয়ে দিয়েছে পুলিস।
এদিন মসজিদ সিল করে তার দখল নেয় পুলিস। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই নির্মাণটি অবৈধ। সেটিকে মসজিদ বানিয়ে দিয়েছে কিছু লোক। একই সঙ্গে স্থানীয়দের দাবি, মসজিদকে কেন্দ্র করে এলাকায় বহিরাহতদের আনাগোনা বেড়েছে।
গুরুগ্রামের শীতলা কলোনির এই মসজিদকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় কড়া পুলিসি পাহারার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। একই সঙ্গে গুরুগ্রামের যে ৩৭টি জায়গায় প্রকাশ্যে নমাজপাঠ হয় সেখানেও পুলিসি পাহারার ব্যবস্থা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সুচারু রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে মোট ৩৫ জন পুলিস আধিকারিককে।
গুরুগ্রামের শীতলা কলোনির ওই মসজিদ সিল করার পর তার আসপাশ থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিস। সরিয়ে ফেলা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের মঞ্চও। মসজিদে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গুরুগ্রামের শীতলা কলোনির একটি তিন তলা বেআইনি বাড়িকে রাতারাতি মসজিদ বানিয়ে ফেলা হয়। এর পর সেখানে দূরদূরান্ত থেকে নমাজ পড়তে আসতে শুরু করে মুসলিমরা। নাম দেওয়া হয় মদিনা মসজিদ। এমনকী স্থানীয় একটি সরকারি গুদাম থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে ওই জায়গায় নির্মাণ নিষিদ্ধ হলেও বানিয়ে ফেলা হয় মসজিদ।
লোকসভা নির্বাচন সেমিফাইনাল, লড়াই হবে সমানে-সমানে: দিলীপ
গত সপ্তাহ থেকে সেখানে লাউড স্পিকারে আজান দেওয়া শুরু হয়। আজানের আওয়াজে বিরক্ত হয়ে স্থানীয়রা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্থানীয় পুরনিগমের দ্বারস্থ হয় গুরুগ্রাম পুলিস।