মাস্ক-গ্লাভস পরে আসতে হবে বুথে, ভোটদাতা-কর্মীদের জন্য একাধিক নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের
করোনা রোগী ভোট দেবেন কীভাবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণের এই সময়ে কীভাবে ভোটগ্রহণ! এনিয়ে বিতর্ক ছিলই। অক্টোবরের শেষে কিংবা নভেম্বরের প্রথমে বিহার বিধানসভায় ভোটগ্রহণ। সেকথা মাথায় রেখেই ভোটদাতা ও ভোটকর্মীদের জন্য নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। এই গাইডলাইন আসন্ন সব বিধানসভা নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হবে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রথম লাগু হচ্ছে। কী রয়েছে ওই নির্দেশিকায়?
আরও পড়ুন-ভারতীয় সংস্কৃতিই পথ দেখাচ্ছে গোটা বিশ্বকে! বিদেশিদের এখন 'নমস্কার' ছাড়া উপায় নেই
ভোটদাতা ও ভোটকর্মী
ইভিএম-এ ভোট দেওয়ার আগে ভোটদাতাদের গ্লাভস দেওয়া হবে। ইভিএম যারা দেখভাল করবেন সেই ভোটকর্মীদেরও পর্যাপ্ত গ্লাভস দেওয়া হবে।
দেওয়া হবে মাস্ক ও হ্যান্ড স্য়ানিটাইজার।
ভোটারদের চিহ্নিত করার জন্য ভোটদাতাকে বুথে মাস্ক নামিয়ে নিজের মুখ দেখাতে হবে।
প্রতিটি ভোটদাতাকে পরীক্ষা করার জন্য থাকবে থার্মাল স্ক্যানার। বুথে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং বজায় রাখতে হবে।
ভোট কেন্দ্রে ১ হাজারের বেশি ভোটদাতা থাকতে পারবেন না।
প্রতিটি বুথে ঢোকার মুখে থাকবে থার্মাল স্ক্যানার।
ভোটগ্রহণের আগের দিন বুথ স্যানিটাইজড করা হবে।
ভোটারদের টোকেন দেওয়ার জন্য থাকবে হেলফ ডেস্ক।
ভোটগ্রহণের জন্য বড় হল নেওয়ার ওপরে জোর দেওয়া হবে।
কোনও ভোটকর্মীর দেহের তাপমাত্রা যদি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি থাকে তাহলে তার পরিবর্তে অন্যজনকে ডেকে নেওয়া হবে।
আগের নির্বাচনের থেকে অনেক বেশি ভোটকর্মী নিয়োগ করা হবে।
প্রত্যেক ভোটকর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীকে দেওয়া হবে ফেস মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস সিলড ও গ্লাভস। যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানে পোলিং অফিসারকে পিপিই কিটও দেওয়া হবে।
মনোনয়নপত্র দাখিল ও প্রচারের নির্দেশিকা
মনোনয়নপত্র করতে হবে অনলাইনে। অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে প্রার্থীদের টাকা জমা দিতে হবে।
জনসভা ও রোড শো করা যাবে তবে তা করতে হবে করোনা গাইডলাইন মেনে।
রোড শো বা জনসভার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের গাইডলাইন মানা হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখবেন জেলা নির্বাচন আধিকারিক।
পাঁচ জনের বেশি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্রচার করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন-লাগাম ছাড়া বিল! বেসরকারি হাসপাতালে এবার করোনা চিকিৎসার খরচ বাঁধতে চলেছে স্বাস্থ্য কমিশন
করোনা রোগী ভোট দেবেন কীভাবে
করোনা আক্রান্ত রোগী ভোট দেবেন পোস্টাল ব্যালটে।
কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজন দিনের শেষ ভোট দিতে পারবেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরদারিতে তারা ভোট দেবেন।
যারা কনটেনমেন্ট জোনে থাকেন তাদের জন্য পৃথক নির্দেশিকা জারি করবে নির্বাচন কমিশন।
ভোটগণনা
ভোট গণনার সময়ে কোনও হল ৭টির বেশি টেবিল থাকবে না।
গণনার আগে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট স্যানিটাইজ করা হবে।