কর্ণাটকে কংগ্রেস জোট সরকারের সিদ্ধান্তে বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম
বিশ্বের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ায় পেট্রপণ্যের দাম কমছে। এর জেরে কুমারস্বামীর সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে। সেই ঘাটতি মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় দু-আড়াই মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগত নামছে অপরিশোধিত তেলের দাম। তার জেরে ভারতের বাজারে কার্যত রোজই কমছে পেট্রল-ডিজেলের দাম।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে জোর টক্কর, লোকসভা নির্বাচনে ৪০ আসনে লড়বে কংগ্রেস-এনসিপি জোট
এই পরিস্থিতিতে যখন স্বস্তিতে বাইক-গাড়ি ব্যবহারকারীরা, ঠিক তখনই কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার পেট্রপণ্যের উপর করবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল। এইচডি কুমারস্বামীর সরকার পেট্রল-ডিজেলের উপর প্রায় চার শতাংশ কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ওই রাজ্যে এতদিন পেট্রলের উপর প্রায় ২৮ শতাংশ কর নেওয়া হত। আর ডিজেলের উপর নেওয়া হত প্রায় ১৭ শতাংশ কর। সেই করই বাড়িয়ে যথাক্রমে ৩২ ও ২১ শতাংশ করে নেওয়া হবে। এতে ওই রাজ্যে পেট্রল-ডিজেলের দামে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে।
কেন এই সিদ্ধান্ত কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, বিশ্বের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ায় পেট্রপণ্যের দাম কমছে। এর জেরে কুমারস্বামীর সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে। সেই ঘাটতি মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৌরবরা আসলে টেস্ট টিউব বেবি, ব্যাখ্যা দিলেন শিক্ষাবিদ
এই বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি-সহ অন্য কংগ্রেস বিরোধী দলগুলি সমালোচনায় সরব হয়েছে। কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রী হলেও এর দায় কংগ্রেসের বলেই বিরোধীদের অভিযোগ। যদিও এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের কোনও বক্তব্য মেলেনি। জেডিএস-ও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
প্রসঙ্গত, জুলাইয়েই বাড়ানো হয়েছিল পেট্রল-ডিজেলের উপর কর। তখন পেট্রল-ডিজেলের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় সরকার করের পরিমাণ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আড়াই টাকা কর কমায় কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকেও আড়াই টাকা করে কমানোর আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: রাফাল নিয়ে আলোচনায় সময়ে সংসদে ফের চোখ মারলেন রাহুল
কর্ণাটক সরকার তাঁদের না কমালেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে তাঁদের রাজস্বে ঘাটতি হয়। ফলে এবারের সিদ্ধান্তে সেই ঘাটতি অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারল সরকার।