সংখ্যালঘু সংরক্ষণে অনুমোদন কেন্দ্রের
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ওবিসি কোটার মধ্যে সাড়ে চার শতাংশ সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ওবিসি কোটার মধ্যে সাড়ে চার শতাংশ সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না। প্রশাসনিক নির্দেশিকার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তা কার্যকর হয়ে যাবে।
অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য যে ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যেই সংখ্যালঘুদের সাড়ে চার শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে। ১৯৯২ সালের সংখ্যালঘু আইনে এই সংরক্ষণ কার্যকর হবে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের পৌরহিত্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে যদিও রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী উপস্থিত ছিলেন না।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ফের লখনউ-এর কুরসি দখল করতে পারলে সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করবেন তিনি। বিএসপি সুপ্রিমোর এই সংখ্যালঘু কার্ড ব্যর্থ করার জন্যই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার তড়িঘড়ি ওবিসি কোটার মধ্যে সংখ্যালঘু সংরক্ষণ চালুর সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সংবিধান অনুযায়ী ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের জন্য তাঁদের অনগ্রসরতার যুক্তি দিয়ে এই পথে হেঁটেছে সরকার। তবে কেন্দ্রের এই নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যথেষ্টই।