দীর্ঘ ১৮ বছর পর উদ্ধার হল 'মিসিং ডেড' ভারতীয় সেনার দেহ

এতদিন সেনাবাহিনীর খাতায় তিনি ছিলেন মিসিং ডেড। কিন্তু এখন তাঁর নামের পাশে লেখা থাকবে শুধু ডেড। কারণ দীর্ঘ আঠেরো বছর বাদে উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজ ভারতীয় সেনা জওয়া গয়া প্রসাদের দেহ। টহল দেওয়ার সময় সিয়াচেনের হিমবাহ থেকে তাঁর মরদেহ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

Updated By: Aug 21, 2014, 02:03 PM IST
দীর্ঘ ১৮ বছর পর উদ্ধার হল 'মিসিং ডেড' ভারতীয় সেনার দেহ

ব্যুরো: এতদিন সেনাবাহিনীর খাতায় তিনি ছিলেন মিসিং ডেড। কিন্তু এখন তাঁর নামের পাশে লেখা থাকবে শুধু ডেড। কারণ দীর্ঘ আঠেরো বছর বাদে উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজ ভারতীয় সেনা জওয়া গয়া প্রসাদের দেহ। টহল দেওয়ার সময় সিয়াচেনের হিমবাহ থেকে তাঁর মরদেহ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

গয়া প্রসাদ। ভারতীয় সেনাবাহিনীরপনেরো নম্বর রাজপুত ইউনিটের হাবিলদার। ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ। সেসময় তাঁর পোস্টিং ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের সিয়াচেন হিমবাহের খান্দা সীমান্ত চৌকিতে। এতদিন সেনাবাহিনীর খাতায় তাঁর নামের পাশে লেখা ছিল মিসিং ডেড। গত রবিবার খান্দা ও দলমা চৌকির মধ্যে টহল দেওয়ার সময়, সেনা জওয়ানরা একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মৃতদেহটি আংশিক বরফে ঢাকা ও অক্ষত ছিল। পকেটে একটি চিঠি পাওয়া যায়। তাতে ওই সেনাকর্মীর পরিচায় লেখা ছিল। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর হেলিকপ্টারে গয়া প্রসাদের দেহ হিমবাহ থেকে লে-তে নিয়ে যাওয়া হয়। সেনাবাহিনীর তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, আঠেরো বছর আগে সিয়াচেন হিমবাহের খান্ডা ড্রপিং জোনে সামরিক বিমান থেকে ফেলা প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর বেশ কয়েকদিন ধরে চলে তল্লাসি। কিন্তু আটত্রিশ বছর বয়সী গয়া প্রসাদকে
খুঁজে না পেয়ে মনে করা হয়েছিল, তুষারধসের কবলে পড়ে মারা গিয়েছেন। বুধবারই তাঁর দেহ লে থেকে বিমানে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপ্রদেশের মেইনপুরী জেলার কুরারিয়া গ্রামে, নিজের বাড়িতে।

আজ গয়া প্রসাদের অশীতিপর পিতা গজাধর সিং, স্ত্রী রমা দেবী, পুত্র সীতারা এবং দুই কন্যা সিনা ও মঞ্জু সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের উপস্থিতিতে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

 

.