Bilkis Bano gang-rape: ১৫ বছর! গুজরাট সরকারের বদান্যতায় শাস্তি মুকুব বিলকিস বানোর ধর্ষকদের

২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারী একটি বিশেষ সিবিআই আদালত এই ঘটনার জন্য ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। আদালত তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। যদিও প্রমাণ নিয়ে কারচুপির অভিযোগ থেকে পুলিসকর্মী এবং দুই চিকিৎসক সহ সাতজনকে বেকসুর খালাস করে আদালত।

Updated By: Aug 16, 2022, 03:25 PM IST
Bilkis Bano gang-rape: ১৫ বছর! গুজরাট সরকারের বদান্যতায় শাস্তি মুকুব বিলকিস বানোর ধর্ষকদের

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০০২ সালে বিলকিস বানো-র গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই মামলায় ১১ জন অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। গুজরাট সরকারের শাস্তি পুনর্বিবেচনার নীতিতে এই সব অভিযুক্তের শাস্তি মুকুব করা হয়। এরা প্রত্যেকেই গোধরা সাব-জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চমহলের কালেক্টর সুজল মায়াত্র জানিয়েছে, ‘কয়েক মাস আগে গঠিত একটি কমিটি এই মামলার ১১ জনের দোষীদের সকলের শাস্তি মুকুবের পক্ষে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়। সুপারিশটি রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়, এবং গতকাল আমরা তাদের মুক্তির আদেশ পেয়েছি।’

২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারী মুম্বইয়ের একটি বিশেষ সিবিআই আদালত বিলকিস বানোর পরিবারের সাত সদস্যকে গণধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগে ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়। যদিও বম্বে হাইকোর্ট তাদের দোষী সাব্যস্ত করতে দেরি করে।

এই অভিযুক্তরা জীবনের ১৫ বছরেরও বেশি সময় জেলে ছিলেন। এর পরে তাদের মধ্যে একজন তার নিজের মুক্তির আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান। সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারকে তার সাজা মুকুবের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। এর পরেই গুজরাট সরকার এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে। এই প্যানেলের নেতৃত্বে থাকা পঞ্চমহলের কালেক্টর সুজল মায়াত্র এই কথা জানিয়েছেন।

কী এই বিলকিস বানোর ঘটনা?

এই ঘটনার সময় বানোর বয়স ছিল ২১ বছর।এর পাশাপাশি তিনি সেই সময় পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। ঘটনাটি ঘটে ২০০২ সালের ৩ মার্চ। আহমেদাবাদের কাছে রন্ধিকপুর গ্রামে যৌন নিপীড়নের শিকার হন তিনি। গোধরায় সবরমতি ট্রেনের ঘটনার পর যে হিংসার ঘটনা শুরু হয় রাজ্যজুড়ে তার হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় এই ঘটনা ঘটে। এই দাঙ্গার ঘটনায় তার তিন সন্তানও নিহত হয়।

আরও পড়ুন: Kashmiri Pandit shot dead: আপেল বাগানে ঢুকে নির্বিচার গুলি জঙ্গিদের; নিহত ১ কাশ্মীরি পণ্ডিত, আহত ১

বানোর মামলার বিচার শুরু হয় আহমেদাবাদে। এই সময় বানো তাঁর মামালার সাক্ষীদের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। সেই সময় ২০০৪ সালের অগস্ট মাসে শীর্ষ আদালত মামলাটি মুম্বইতে স্থানান্তর করে।

২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারী একটি বিশেষ সিবিআই আদালত এই ঘটনার জন্য ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। আদালত তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। যদিও প্রমাণ নিয়ে কারচুপির অভিযোগ থেকে পুলিসকর্মী এবং দুই চিকিৎসক সহ সাতজনকে বেকসুর খালাস করে আদালত।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.