Wife's Murder Case: খুনের দায়ে চার বছর জেল খাটার পর জানা গেল, হেঁটে চলেই বেড়াচ্ছেন স্ত্রী! তাহলে স্বামী কেন আসামি?

Wife's Murder Case: হঠাৎ করেই জানা যায় ধর্মশীলা মারা যাননি। অন্য এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন তিনি। দুই সন্তান নিয়ে সংসার পেতেছেন আরাতেই।

Updated By: Oct 24, 2024, 03:00 PM IST
Wife's Murder Case: খুনের দায়ে চার বছর জেল খাটার পর জানা গেল, হেঁটে চলেই বেড়াচ্ছেন স্ত্রী! তাহলে স্বামী কেন আসামি?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চার বছর পর ফিরে এলেন মৃত স্ত্রী,যাকে হত্যার দায়ে জেলের ভিতর দিন কাটছিল তার স্বামীর। এ কোনো সিনেমার প্লট নয়, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ভোজপুর জেলায়। স্ত্রী ধর্মশীলা দেবীকে খুন করার অভিযোগে জেল হয়েছিল তার স্বামীর। এরপর হঠাৎ পুলিস দেখতে পায় ধর্মশীলাকে। যা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়ক গাছ পুলিসের।

সূত্রের খবর, বিয়ের পর মারধর করতেন স্বামী। বাধ্য হয়ে স্ত্রী ধর্মশীলা দেবী ফিরে আসেন তার বাবা-মায়ের ঘরে। দুমাস পর ধর্মশীলার মা মারা যান। এরপর তার বাবা তাকে কুনজরে দেখতে শুরু করেন। একদিকে স্বামীর নির্যাতন, অন্য দিকে বাবার কীর্তিতে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ধর্মশীলা। রেললাইনে গিয়ে আত্মহত্য়ার চেষ্টা করেন তিনি। সেই সময় এক ব্যক্তি এসে ধর্মশীলার প্রাণ বাঁচান। এই ব্যক্তি ধর্মশীলাকে তার সঙ্গে আসতে বলেন। দুজনে একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন। তবে ধর্মশীলার বাবা ভেবে নেন তাঁর কন্যা মারা গিয়েছে। এরপর তিনি জামাইয়ে  দীপকের নামে খুনের মামলা দায়ের করে। কিছু দিনের মধ্যেই একটি দাবিহীন মৃতদেহ আসায় ধর্মশীলার বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি সেই দেহ নিজের কন্যার বলেই সনাক্ত করেন। এরপর মামলা রুজু করে ধর্মশীলার প্রাক্তন স্বামী  দীপককে দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:Cyclone Dana Updates: এসে গেল 'ডানা'র এখনও পর্যন্ত লেটেস্ট আপডেট! কোন পথে সে? কোথায় চলবে ধ্বংসলীলা? প্লাবিত হবে বাংলা?

চার বছর ধরে জেলবন্দি থাকার পর জামিন পেয়ে জেলের বাইরে আসেন দীপক। হঠাৎ করেই জানা যায় ধর্মশীলা মারা যাননি। অন্য এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছেন তিনি। দুই সন্তান নিয়ে সংসার পেতেছেন আরাতেই। এবিষয়ে ধর্মশালা দেবী বলেন, 'বাবা মিথ্যা এফআইআর নথিভুক্ত করেছেন।পুলিস মীরগঞ্জে আমার বাড়িতে এসে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। আমার বাবা অন্য মহিলার মৃতদেহকে আমার মনে করে আমার প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধে  মিথ্যা এফআইআর দায়ের করে। আমি আরা মীরগঞ্জের বাসিন্দা অজয় কাহারকে বিয়ে করেছি। আমার দুই সন্তান আছে।' 

আরও পড়ুন: Poverty became Life Mantra: বাবা চালান অটো, ছেলে অভাবের ঘরে বড় হয়ে দেশের তরুণতম IAS অফিসার! চেনেন?

ভুয়ো অভিযোগের ফলে দীপককে এই ভাবে জেলবন্দি রাখার কারণে খানিকটা বিব্রত পুলিসও। তবে গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠছে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে। এক পক্ষের অভিযোগ পেয়ে যেভাবে পুলিশ তদন্ত করেছে তাও সমালোচিত হয়েছে।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.