Relationship: সঙ্গীর প্রতি অবিশ্বস্ত কারা বেশি, ছেলেরা না মেয়েরা? গবেষণার ফলে চমকাবেন...
Relationship : অধিকাংশ মানুষই মনে করেন, সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক অপূর্ণতা থেকেই সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয় এবং মানুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। তবে নারী না পুরুষ, কাদের মধ্যে পরকীয়ায় জড়ানর প্রবণতা বেশি? ভারতীয় সংস্কৃতিতে পরকীয়া উঠে এসেছে বহু আগে থেকেই।এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজের এই ব্যাপারে বার বার কাদা ছোড়া হয়েছে নারীদের দিকেই। সম্প্রতি এই বিষয়ে সমীক্ষা করেছে অনলাইন ডেটিং অ্যাপ!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রখ্যাত নাট্যকার বার্নার্ড স (George Bernard Shaw) এককালে বলেছিলেন, প্রেম একটি জ্বলন্ত সিগারেট, যার শুরুতে আগুন এবং শেষে পরিণতি ছাই। প্রেম নিয়ে যত সুন্দর, মিষ্টি উক্তিই থাকুক না কেন, বাস্তব এটাই। প্রেম মানে কখনই উত্তম সুচিত্রা বা কাজল শাহরুখের মতো অনস্ক্রিন মিষ্টি ব্যাপার নয়। এতে লেগেই থাকে নানা ওঠা-পড়া। বিশেষ করে, দুটো মানুষ কখনই এক হয় না। প্রত্যেকের নিজস্ব পছন্দ-রুচি আছে। তাই সমস্যা লেগেই থাকে। তবে প্রেমে পড়লে মানুষে সবটুকু নিয়েই থেকে যেতে চায়। কিন্তু এই প্রেম যদি পরকীয়া (Cheat In Relationships) হয় তাহলে? সেক্ষেত্রে, এক পক্ষের কাছে এই প্রেমের শুরুতেই পরিণতি উক্তিটির শেষাংশের মতো হয়। বর্তমানে ভারতে পরকীয়া বৈধ। এই নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক হলেও, বুদ্ধিজীবীরা এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদই জানিয়েছেন। আসলে, পরকীয়ার ঠিক একটি বা দুটি কারণ মানুষে খুঁজে পায়নি। এক একটি সম্পর্কে এক এক রকম ফাঁক ফোঁকর বেরিয়ে এসেছে। সেখান থেকেই অনেকে বেছে নিয়েছেন পরকীয়ার পথ। তবে আজও পরকীয়ার বিষয়ে সমাজ আঙুল তোলে পুরুষের দিকে। কিন্তু বাস্তব কী তাই বলছে?
অধিকাংশ মানুষই মনে করেন, সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক অপূর্ণতা থেকেই সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয় এবং মানুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। তবে নারী না পুরুষ, কাদের মধ্যে পরকীয়ায় জড়ানর প্রবণতা বেশি? সমীক্ষা বলছে, নারীদের। বিখ্যাত লেখক, ওয়েডসডে মার্টিন এই বিষয়ে দীর্ঘকাল গবেষণা করেন। সেই গবেষণার ফলাফল হিসেবে তিনি জানান, সমাজ মনে করে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর নারীদের যৌন চাহিদা কমে যায়। কিন্তু এমনটা একদমই না। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীরা যৌন জীবনে বেশি বৈচিত্র খোঁজেন। লেখকের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছে একটি অনলাইন ডেটিং অ্যাপ। ‘গ্লিডেন’ নামক একটি বিবাহ বহির্ভূত অ্যাপ ৩০-৬০ বছর বয়সী মহিলাদের নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪৮ শতাংশ নারী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে। আর এই ৪৮ শতাংশের একটি বড় অংশ এক সন্তানের মা।
আরও পড়ুন : Post Office Scheme: মাত্র ১০০ টাকার অ্যাকাউন্ট আপনাকে দিতে পারে ১৬ লক্ষ !
তবে এই সমীক্ষা থেকে উঠে আসছে আরও একটি তথ্য। যেসকল মহিলারা পরকীয়ায় জড়ান, তাঁদের ৫২ শতাংশের শরীরচর্চার অভ্যাস আছে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে, শরীরচর্চার সাথে যুক্ত থাকলেই এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন? গবেষণা বলছে, শরীরচর্চা শুধু শারীরিকব নয়, মানসিকভাবেও তাজা রাখে। ফলে যৌন জীবন ও প্রেমকে আরও আনন্দমুখর ও উত্তেজক করার প্রবণতা তাঁদের বেশি। তাহলে বাকি যারা নিয়মিত শরীরচর্চার সাথে যুক্ত নন, তাঁদের পরকীয়ার কারণ কী? সেক্ষেত্রেই উঠে আসছে নানা প্রসঙ্গ। মূলত উঠে আসছে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের কাছের মানুষের কাছ থেকে অসহযোগিতা, অসন্তোষ, সম্মান না পাওয়া, একাকিত্ব ইত্যাদি আরও নানা কারণ।
তবে ভারতীয় সংস্কৃতিতে পরকীয়া উঠে এসেছে বহু আগে থেকেই।এই পিতৃতান্ত্রিক সমাজের এই ব্যাপারে বার বার কাদা ছোড়া হয়েছে নারীদের দিকেই। সাংবাদিক, পরিচালক ও অভিনেত্রী সুদেষ্ণা রায় বলেছিলেন, পরকীয়া রাধাকৃষ্ণের আমল থেকেই ছিল। এটি একটি ইউটোপিয়ান সমাজের কনসেপ্ট যে একজন মহিলার আজীবন একজন পুরুষকেই ভালো লাগতে হবে। অবশ্য এই বিষয়ে সাহিত্যিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, পৃথিবীতে সবকিছুর এক্সপায়রি ডেট থাকলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে থাকবে না কেন?