মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণেও পাল্টা চাপের খেলা মমতার

অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্ঘাত তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে পাল্টা চাপে রাখতে রাজ্যের দুই দলত্যাগী কংগ্রেস নেতাকে মন্ত্রিসভায় নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও হুমায়ুন কবীর। পূর্ণমন্ত্রীই করা হচ্ছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। কাল শপথ নেবেন মোট ন`জন মন্ত্রী। স্বাস্থ্য দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হচ্ছেন হচ্ছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন মদন মিত্র, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত সাহা। দেড়বছরের মাথায় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রীরা।  

Updated By: Nov 20, 2012, 08:02 PM IST

অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্ঘাত তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে পাল্টা চাপে রাখতে রাজ্যের দুই দলত্যাগী কংগ্রেস নেতাকে মন্ত্রিসভায় নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও হুমায়ুন কবীর। পূর্ণমন্ত্রীই করা হচ্ছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। কাল শপথ নেবেন মোট ন`জন মন্ত্রী। স্বাস্থ্য দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হচ্ছেন হচ্ছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন মদন মিত্র, অরূপ বিশ্বাস, সুব্রত সাহা।
দেড়বছরের মাথায় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রীরা।
 
মুর্শিদাবাদ এবং মালদায় কংগ্রেসের দুর্গে হানা দিতে সরাসরি মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হচ্ছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ও হুমায়ুন কবীরকে। কংগ্রেস ছাড়ার পরই তৃণমূলের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন এই দুই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। মঙ্গলবারই  বিধানসভায় বিধায়ক হিসাবে তাঁদের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন ওই দুই জন। মন্ত্রী হওয়ার ছয়মাসের মধ্যে এঁদের বিধানসভায় জিতে আসতে হবে।
 
তৃণমূলের নতুন মন্ত্রীদের তালিকায় রয়েছেন সিঙ্গুরের বেচারাম মান্না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সিঙ্গুর আন্দোলনের। ক্ষমতায় আসার পর সিঙ্গুর থেকে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে মন্ত্রীও করেছিলেন তিনি। এবার সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম নেতা বেচারাম মান্নাকে নিয়ে আসছেন মন্ত্রিসভায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বেচারাম মান্নাকে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা যথেষ্ট তাত্‍পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তালিকায় রয়েছেন হাওড়ার তৃণমূল যুব নেতা রাজীব ব্যানার্জি। তৃণমূলের তরুণ তুর্কির মধ্যে রাজীব ব্যানার্জি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুবই পছন্দের।
 
 
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে মন্ত্রী হচ্ছে দুজন। এঁরা হলেন মন্টুরাম পাখিরা ও গিয়াসউদ্দিন মোল্লা।
 
কংগ্রেসের অন্য দুর্গ নদিয়ার পুণ্ডরীকাক্ষ সাহাকেও মন্ত্রী করছেন মুখ্যমন্ত্রী। নদিয়া জেলায় তৃণমূলের সংগঠনকে আরও জোরালো করার লক্ষ্যেই পুণ্ডরীকাক্ষ সাহাকে মন্ত্রী করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও মন্ত্রী হচ্ছেন বর্ধমানের স্বপন দেবনাথ, কলকাতার শশী পাঁজা।
 
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একদিকে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদ, অন্যদিকে হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান জেলা থেকেও মন্ত্রিসভায় তিনজনকে নিয়ে আসা হল। এই মুহূর্তে একদিকে দলীয় কোন্দল অন্যদিকে দুর্নীতি। এই দুই ইস্যুতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় জেলাপরিষদকে কেন্দ্র করে যথেষ্টই চাপে তৃণমূল। সেটা সামলাতেই ওই জেলা থেকে আরও দুজনকে মন্ত্রিসভায় আনা হচ্চে। রাজ্য বিধানসভায় আসনসংখ্যা অনুযায়ী এই মুহূর্তে সর্বাধিক ৪৪ জন মন্ত্রী হতে পারেন। কংগ্রেসের সাতজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তবে নতুন মন্ত্রী হিসাবে নয়জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে বর্তমান মন্ত্রীসভা থেকে দুজন মন্ত্রীকে সরানো হতে পারে। তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন,  রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে বেচারাম মান্নাকে মন্ত্রীসভায় আনা হতে পারে। সরানো হতে পারে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী শ্যামল মণ্ডলকেও। যে মন্ত্রীরা এখন দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের কারও কারও দফতর পুর্নবিন্যাসও হতে পারে।

.