বেড নেই, হাসপাতাল হাসপাতাল ঘুরে রাস্তাতেই মৃত্যু হল আড়াই মাসের শিশুর
নোবেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কের মাঝেই কলকাতা সাক্ষী হল এক মর্মান্তিক ঘটনার।

নিজস্ব প্রতিবেদন: নোবেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কের মাঝেই কলকাতা সাক্ষী হল এক মর্মান্তিক ঘটনার।
বুধবার সকাল ১১ টা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত শহর কলকাতার নামী ৫ হাসপাতাল ঘুরে আড়াই মাসের শিশুকে নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ পৌঁছানোর পর পরিবার জানতে পারল রাস্তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর। অক্সিজেন ফুরিয়ে যেতেই মৃত্যু!
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাস্তাতেই যেহেতু শিশুর মৃত্যু হয়েছে তাই তার ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপর দেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হবে। পরে কাগজপত্র তৈরি করতে গিয়ে চিকিৎসকরা
দেখেন এই শিশু ভর্তি ছিল শিশুমঙ্গল হাসপাতালে। সেখানেও উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
চিকিৎসকরা তার নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ নভেল করোনার সংক্রমণ কিনা সেটা জানার জন্য লালা রসের নমুনা পাঠিয়েছিলেন বেলেঘাটার নাইসড এবং এসএসকেএম হাসপাতালে ল্যাবরেটরিতে।
খবর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছতেই শুরু হয় তৎপরতা। চিকিৎসককে আলাদা করে একটি ঘরে বসে থাকার অনুরোধ করা হয়। নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আলাদা করে ফেলা হয়। মাদার এন্ড চাইল্ড হাবে ঢোকার দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় । পরিবারকে একটি ঘরে বসে থাকার অনুরোধ জানানো হয়।
সন্ধ্যা ছটা নাগাদ রিপোর্ট এসে পৌঁছয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই রিপোর্টে দেখা যায় ওই শিশু নেগেটিভ। নিয়ম মেনে তারপর ওই দেহ পাঠানো হয় মর্গে। শিশুটির দাদু বাটানগরের বাসিন্দা শরফুদ্দিনের অভিযোগ, বুধবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে শিশুমঙ্গল চিকিৎসকরা এসএসকেএম স্থানান্তরিত করেন । শিশুটি নভেল করোনায় আক্রান্ত কিনা সেটা জানার জন্য সোয়াব কালেক্ট করা হয়েছিল। এসএসকেএম থেকে জানানো হয় বেড নেই। সেখান থেকে আইসি এইচএ যেতে বলা হয়। আইসিএইচ কর্তৃপক্ষও জানান, সেখানে বেড নেই । তারা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন । এরপর ফের এসএসকেএম ঘুরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছন তাঁরা। কিন্তু হাসপাতালেই পৌঁছতেই চিকিত্সকদের জানান, রাস্তাতেই অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে পরিবার।