তৃণমূল প্রার্থী সুগত বসুর প্রেসিডেন্সির মেন্টর গ্রুপের চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগের দাবিতে সরব ছাত্র সংসদ
তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়া শিক্ষার পরিপন্থী। তৃণমূল কংগ্রেসের যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সুগত বসুর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন্টর গ্রুপ্রের চেয়রপারসনের পদ থেকে পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে ছাত্র সংসদ।
তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়া শিক্ষার পরিপন্থী। তৃণমূল কংগ্রেসের যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সুগত বসুর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন্টর গ্রুপ্রের চেয়রপারসনের পদ থেকে পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে ছাত্র সংসদ।
ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা রাজনীতির প্রভাব মুক্ত করার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির ছায়া যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ্য শিক্ষার পরিবেশকে গ্রাস না করে ও শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়নের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন্টরগ্রুপের চেয়রম্যান পদে বসিয়েছিলেন হার্ভাড ফেরত ইসিহাসের অধ্যাপক সুগত বসুকে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই শিক্ষাবীদ সুগত ভোটে দাঁড়িয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে, সরাসরি তৃনমূলকে সমর্থনের পর সুগত বাবুর কি আদোও মেন্টর পদে থাকা উচিত? মেন্টর গ্রুপের প্রধান পদ থেকে পদত্যাগের দাবিতে প্রসিডেন্সিতে গণভোটের আয়োজন করেছে ছাত্র সংসদ। ছাত্র ছাত্রীদের দাবি মেন্টর গ্রুপ থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভোট লড়ুন সুগত বসু।
সুগত বসু তৃণমূল সাংসদ নির্বাচিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক দলতন্ত্র বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে। সাংসদ হয়েও প্রেসিডেন্সির মেন্টর পদের দায়িত্বে থেকে গেলে তা তৃণমূলতন্ত্রের নামান্তর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সুগত বাবুর মতো শিক্ষাবীদ সক্রিয় রাজনীতিতে থেকেও ছাত্র ছাত্রীদের উন্নয়নের কাজ যদি করে যেতে পারেন তাহলে আপত্তি নেই বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের। সাড়ে তিন বছর ধরে প্রসিডেন্সির কাজ করে যাওয়া মেন্টর সুগত বাবু অবশ্য সবই ছেড়ে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী।