SSC Scam: টেটের উত্তরপত্রে কারচুপি মামলায় এবার সিবিআই তদন্ত, ঘোর বেকায়দায় মানিক ভট্টাচার্য
মামলার শুনানিতে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মারাত্মক দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে
অর্ণবাংশু নিয়োগী: এসএসসি-র পরীক্ষা থেকে নিয়োগ, একাধিক ধাপে কারচুপির অভিযোগ জেরবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওএমআর শিটে 'কারচুপি' মামলায় আজ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ওই মামলায় ঘোর বেকায়দায় মানিক ভট্টাচার্য। ওই মামলায় পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জেরায় সহযোগিতা না করলে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আজ রাত আটটার মধ্যে তাঁকে সিবিআই দফতরে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। মামলার শুনানিতে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মারাত্মক দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে, অপরাধমূলক অভিসন্ধি থাকতে পারে।
আরও পড়ুন-তাজমহলের ৫০০ মিটারের মধ্যে চলবে না কোনও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড; সুপ্রিম কোর্ট
টেট ওএমআর শিট মামলায় তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কীরকম অনিয়ম? প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি, এনিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ-সহ একাধিক আইনি প্যাঁচ থেকে বাঁচতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। তার মধ্য়েই হাইকোর্টের এই রায়। ওএমআর শিট নষ্ট করার জন্য একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন মানিক। যে সংস্থাকে দিকে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল সেই সংস্থাকে নিয়োগের আগে কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি। পছন্দমতো সংস্থাটিকে বেছে নেওয়া হয়। শিট নষ্ট করার সময়ে কোনও সরকারি কোনও সাক্ষী রাখা হয়নি। ওইসব বিষয়কে সন্দেহজনক বলেই মনে করেছে আদালত। ওই কর্মকাণ্ডের মধ্যে কোনও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেই মনে করছে আদালত।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির আরও একটি অভিয়োগ সামনে চলে এল এবং সেই মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, বিচারব্যবস্থার প্রতি আমরা আস্থাশীল। মাঝেমধ্যে কারও কারও আচরণে আমরা অবাক হই। আদালতের রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে মনে করিয়ে দেব, গত কয়েক বছরে সিবিআই-ইডির তদন্তের রেইড ৩৬৫ শতাংশ বেড়েছে। এর বেশিরভাগটার শিকার তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুদিন আগে যাদবপুরে তাঁর বাড়িতে ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য অথচ রটে গেল তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস দেওয়া হয়েছে। তদন্ত তদন্তের মতো চলুক। কিন্তু তদন্তের নামে কারও সামাজিক সম্মানহানি যেন না হয়।
হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ওএমআর শিট নষ্ট না করে এই দুর্নীতি করা সম্ভব ছিল না। ওএমআর শিট পরিকল্পিতভাবে নষ্ট করা হয়েছে। এর জন্য একা কেউ বা কোনও অধস্তন কর্মী দায়ী নন। এই কাজ মানিক ভট্টাচার্যের অগোচরে হয়নি। বাগ কমিটির রিপোর্টেও সেকথা বলা হয়েছে। এখন এই আইনি প্রক্রিয়া চলবে। কিন্তু আমাদের একটা প্রশ্ন রয়েছে, যারা প্রতারিত হয়েছেন তাঁদের জীবন থেকে পাঁচটা বছর লুঠ হয়ে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে বিশ্বাঘাতকতা করে বাজারে চাকরি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তাদের কী হবে? তারা কীভাবে বিচার পাবে?