SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাইসার দুই অধিকারিককে তলব, মঙ্গলবারই হাজিরার নির্দেশ
ওই সংস্থার সার্ভারে এবং বিধাননগরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে চাকরিপ্রার্থীদের নম্বরের বিস্তর হেরফের ধরা পড়ে। কোথাও যোগ্য প্রার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, আবার কোথাও অযোগ্যদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

অয়ন ঘোষাল: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাইসার দুই অধিকারিককে তলব। নিজাম প্যালেসে তলব করলো সিবিআই। মঙ্গলবারই হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদেরকে। ওএমআর বিকৃতির জন্য আলাদা একটা টিম করেছিল নাইসার ভাইস প্রেসিডেন্ট, তদন্তে এমনই তথ্য জানতে পারেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দারা আরও জানতে পারেন টাকা দিলেই ওএমআরে নম্বর বদলে দিত নীলাদ্রির টিম। এবার নাইসার দুই অধিকারিককে ওএমআর-এর নম্বর বিকৃত করা থেকে টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।
নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে আগেই গ্রেফতার হয়েছিল গাজিয়াবাদের সংস্থার এক পদস্থ কর্তা নীলাদ্রি দাস।
সিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই সংস্থাটি ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। ওএমআর শিট বিকৃত করার তথ্য সিবিআই তদন্তে সামনে আসে।
ওই সংস্থার সার্ভারে এবং বিধাননগরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে চাকরিপ্রার্থীদের নম্বরের বিস্তর হেরফের ধরা পড়ে।
কোথাও যোগ্য প্রার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, আবার কোথাও অযোগ্যদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন:Kolkata Police | Pronam App: ১০ বছর পেরিয়ে কলকাতা পুলিসের প্রণাম প্রকল্প এবার মোবাইল অ্যাপে
সিবিআই সূত্রের খবর, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বর্তমানে জেলবন্দি সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এমন অনেক প্রার্থীর চাকরির জন্য সুপারিশ করতেন, যাঁরা পরীক্ষায় পাস-ই করতে পারেননি। প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশের নির্দেশে এসএসসি-র তৎকালীন প্রোগ্রাম অফিসার সেই ফেল করা প্রার্থীদের নম্বর বাড়াতেন। যাতে তাঁরা প্যানেল বা ওয়েটিং লিস্টে চলে আসেন। সুবীরেশ ভট্টাচার্য কথা মতোই এসএসসি-র নথিতে থাকা অকৃতকার্য প্রার্থীদের নম্বর যেভাবে বাড়ানো হত, ঠিক তেমনই NYSA-র হেফাজতে থাকা নথিতেও সেই প্রার্থীর নম্বর একইভাবেই বাড়িয়ে দেওয়া হত।
আর এই ব্যাপারে সাহায্য করতেন NYSA-র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিলাদ্রী দাস। নম্বর বাড়ানোর পর, নতুন তথ্যও এসএসসি-র হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ওএমআর শিট মূল্যায়ণকারী বেসরকারি ওই সংস্থার এই অফিসারের। নিজাম প্যালেসে দীর্ঘক্ষণ জেরার পর নিলাদ্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআইয়ের সূত্রে দাবি, গ্রুপ-সির ৩৪৮১ টি, গ্রুপ-ডির ২৮২৩ টি, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৫২টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯০৭টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়।