ফিজ দিয়েছে বোঝাতে হলুদ পরিচয়পত্র! শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে স্কুল?
জিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জি ডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন, মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার ও অশোক হল স্কুলে। স্কুলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যারা পুরো ফিজ দিয়েছে, তাদের জন্য হলুদ পরিচয়পত্র। সেই কার্ড গলায় ঝোলানো থাকলে তবেই স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। জি ডি বিড়লা, মহাদেবী বিড়লা ও অশোক হল স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে শিক্ষামহল তোলপাড়। এর ফলে পড়ুয়াদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হবে। বলছেন মনোবিদরা। অভিভাবকের একাংশ ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন স্কুলের আচরণের বিরোধিতা করে।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজনরেখা। তাও আর্থিক কারণে। এমনই নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে জি ডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশন, মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহার ও অশোক হল স্কুলে। যে পড়ুয়াদের গলায় হলুদ কার্ড, তারা পুরো ফিজ মিটিয়ে দিয়েছে। তারা স্কুলে ঢুকতে পারবে। ক্লাস করতে পারবে। বাকিদের নো এন্ট্রি। এ নিয়ে রীতিমত নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলের গেটে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, পুরো ফিজ মেটানো হোক বা না হোক, সবাইকে ক্লাস করতে দিতে হবে। কারও মার্কশিট আটকে রাখা যাবে না, নতুন ক্লাসে তুলে দিতে হবে। কার কত বকেয়া ঠিক করবেন আদালত নিযুক্ত অফিসার। এই রায়ের পরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। যারা পুরো ফিজ মিটিয়েছে, গত বুধবার তারা হাতে পায় মার্কশিট। আর শনিবার পায় এই হলুদ পরিচয়পত্র। কিন্তু হলুদ কার্ড থাকা সত্ত্বেও অনেককে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
স্কুলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিভাবকদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, যারা সম্পূর্ণ ফিজ মেটায়নি, তাদের স্কুলে ঢুকতে না দিয়ে আদালত অবমাননা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা মৌলিক অধিকার, তা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে ওই পড়ুয়াদের। সম্ভবত মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে।
আরও পড়ুন, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলবে, দক্ষিণবঙ্গে কেমন থাকবে নববর্ষের আবহওয়া?
‘গণধর্ষণ’ কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত নির্যাতিতার ভাসুর সহ ২