সারদাকাণ্ড: প্রতিশ্রুতিই সার, আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাওয়ার আগেই লুপ্ত হতে পারে শ্যামল সেন কমিশন
প্রতিশ্রুতি ছিল অনেক, যদিও শেষপর্যন্ত সে সব অধরাই থেকে যেতে পারে। সারদার আমানতকারীরা অর্থ ফেরত পাওয়ার আগেই গুটিয়ে নেওয়া হতে পারে শ্যামল সেন কমিশন। কারণ আগামিকালই কমিশনের মেয়াদের শেষ দিন। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সবুজ সংকেত না পেলে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। কাজ শেষের আগেই শ্যামল সেন কমিশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পথে নামছে বিরোধীরা।গতবছর সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর চব্বিশে এপ্রিল শ্যামল সেন কমিশন গড়ে দেয় রাজ্যসরকার। উদ্দেশ্য ছিল কুড়িহাজার টাকা পর্যন্ত যাঁরা সারদায় আমানত করেছেন তাঁদের টাকা ফেরত্ দেওয়া।পাশাপাশি যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেওয়া। ঠিক ছিল দুহাজার তেরোর অক্টোবরেই কমিশন তাদের কাজ শেষ করবে। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ার এবছর বাইশে অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এবারে মেয়াদ ফুরনোর দিন চলে এলেও তা বাড়ানোর কোনও ইঙ্গিত আসেনি সরকারের তরফে।
ব্যুরো: প্রতিশ্রুতি ছিল অনেক, যদিও শেষপর্যন্ত সে সব অধরাই থেকে যেতে পারে। সারদার আমানতকারীরা অর্থ ফেরত পাওয়ার আগেই গুটিয়ে নেওয়া হতে পারে শ্যামল সেন কমিশন। কারণ আগামিকালই কমিশনের মেয়াদের শেষ দিন। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সবুজ সংকেত না পেলে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। কাজ শেষের আগেই শ্যামল সেন কমিশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পথে নামছে বিরোধীরা।গতবছর সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর চব্বিশে এপ্রিল শ্যামল সেন কমিশন গড়ে দেয় রাজ্যসরকার। উদ্দেশ্য ছিল কুড়িহাজার টাকা পর্যন্ত যাঁরা সারদায় আমানত করেছেন তাঁদের টাকা ফেরত্ দেওয়া।পাশাপাশি যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেওয়া। ঠিক ছিল দুহাজার তেরোর অক্টোবরেই কমিশন তাদের কাজ শেষ করবে। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ার এবছর বাইশে অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এবারে মেয়াদ ফুরনোর দিন চলে এলেও তা বাড়ানোর কোনও ইঙ্গিত আসেনি সরকারের তরফে।
একনজরে দেখা যাক এখনও পর্যন্ত কত মানুষকে টাকা ফেরত দিতে পেরেছে কমিশন।
এখনও পর্যন্ত চার দশমিক নয় আট লক্ষ ঋণদাতার টাকা ফেরত দিতে পেরেছে বলে দাবি কমিশনের। তবে এঁরা প্রত্যেকেই কুড়ি হাজার টাকার কম আমনত করেছিলেন।
টাকা ফেরত দিতে কমিশনের মোট খরচ হয়েছে ২৬২কোটি টাকা।
যদি ২৫ হাজার পর্যন্ত আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে চায় কমিশন সেক্ষেত্রে আরও ১৩০কোটি টাকা খরচ করতে হবে কমিশনকে।
শুধু এই খরচই নয়, এরসঙ্গেই যোগ হচ্ছে কমিশন চালাতে বেতন বাবদ বিপুল খরচ। কমিশনের প্রধান শ্যামল সেনের বেতন ১ লক্ষ টাকা। অন্যান্য কর্মীদের বেতন দিতেও রাজ্য সরকারকে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা গুনতে হয়। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞমহলের ধারণা কমিশনের মেয়াদ না বাড়ানোর কারণ রাজ্যের আর্থিক অবস্থা। যা কোনওভাবেই কমিশনের কাজ চালিয়ে যাওয়াকে সমর্থন করে না।
তবে কারণটা যাই হোক, শ্যামল সেন কমিশন বন্ধ হলে সারদা সহ একাধিক আমানতকারীদের টাকা ফেরতের ভবিষ্যত নিঃসন্দেহে অন্ধকারে পড়বে।