'এত অভিযোগ, গ্রেফতারির পরও তৃণমূলের কর্মী সংখ্যা কোথাও কমেনি', সরব সৌগত
দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সরব সৌগত রায়। এত দুর্নীতি, ধরপাকড় সত্ত্বেও মানুষের সমর্থন হারায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও কোনও বিকল্প নেই, এদিন জনসভা থেকে এ বিষয়েও কথা বলেছেন তৃণমূল সাংসদ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার দক্ষিণ দমদমে দলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দুর্নীতি ইস্যুতে ফের সরব হলেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তার সেই মন্তব্য ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে বর্ষীয়ান অধ্যাপক সাংসদকে বলতে শোনা যায় "একটা কথা বিশেষ ভাবে মনে রাখা দরকার এই পুজোর আগে কিছু দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দলের কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ হয়েছে। অনেকে গ্রেফতারও হয়েছে। কর্মীদের মনে আঘাত লেগেছে, কিন্তু আমি এ পর্যন্ত সাতটা বিজয়া সম্মিলনী করলাম, আমি সব জায়গায় দেখছি কর্মী সংখ্যা কমেছে কি না। কিন্তু আমি দেখলাম আমাদের কর্মী সংখ্যা কোথাও কমেনি, কেউ বসে যায়নি, আমাদের কর্মী সমান সংখ্যায় আছে।''
আরও পড়ুন, Md Salim: প্রশ্নে বাম ঐক্য? সেলিমের খোঁচায় বাড়ল জল্পনা
এদিন তিনি আরও বলেন, 'হ্যাঁ কিছু লোক দুর্নীতি অভিযোগে অভিযুক্ত। যদিও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং আমরা বলছি বিজেপি তার কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি এবং সিবিআইকে ব্যবহার করছে বিরোধী দলদের দমিয়ে দিতে। যদিও আমরা বলছি শুধু পশ্চিমবাংলায় নয় দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের বিরুদ্ধে ইডি সিবিআই ব্যবহৃত হচ্ছে। উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে, বিহারে তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এবং এন সি পি এবং শিবসেনার বিরুদ্ধে, এমনকি কেরালায় বামপন্থীদের ইডি এবং সিবিআই ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই আমাদের কর্মীদের যেটা বুঝতে হবে নিজেদের উপরেই ভরসা রাখতে হবে যে আমি নিজে সৎ হলে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করব।
এদিন তৃণমূল নেতা বলেন, 'আমার নিজের ধারণা ৯৮ শতাংশ তৃণমূল কর্মী সৎ। ২ শতাংশ দুর্নীতিতে থাকলেও থাকতে পারে। আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যারা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হচ্ছেন আদালতে নিজেদের পক্ষে বলার দায়িত্ব তাদের নিতে হবে, দল তার দায়িত্ব নেবে না।" ওই একই মঞ্চ থেকে দলে আসা নতুন কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'পুরোনো কর্মীদের দেখছি ,দেখে ভালো লাগছে এরা থাকলে দলে মূল্যবোধ থাকবে। তার কারণ এরা যখন দল করেছে তখন দলের থেকে কিছু পাওয়ার ছিল না। আজকে দাঁড়িয়ে যারা নতুন আসছে তাদের বলব এসে বলবেন না দল থেকে আমি কি পেলাম বলুন দলকে আমি কি দিতে পারি। কতটা সময়, কতটা অর্থ, কতটা পরিশ্রম দিতে পারব।'
কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনি বলেন, ''এগারো বছর আমরা ক্ষমতায় আছি। সেই পুরনো মার খাওয়া কর্মীদের ভুলে গেলে চলবে না। ঐক্য মানে নতুন এবং পুরনোদের নিয়ে ঐক্য করা। ঐক্য মানে ভালো ও খারাপদের নিয়ে ঐক্য করা নয়। ঐক্য করা মানে খারাপদের বাদ দিয়ে ভালোদের নিয়ে ঐক্য করা। আমি আশা আপনারা সেদিকে এগোবেন। সামনের লড়াই, কঠিন লড়াই। কিন্তু আমি মনে করি তৃণমূলের যা শক্তি আছে সেটা একসঙ্গে থাকলে যেকোন অবস্থার মোকাবিলা করতে পারব। বাংলা ঘুরে যা মনে হচ্ছে তৃণমূলের কোন বিকল্প নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বিকল্প নেই। মানুষ সঙ্গে আছে আমাদের সঙ্গেই চলতে চায়।"
আরও পড়ুন, Mithun Chakraborty: বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটিতে মিঠুন, ঘোষণা জেপি নাড্ডার