আলমারিতে ছিল কয়েক লক্ষ টাকার গয়না-নথি, লুঠের উদ্দেশ্যেই খুন নেতাজিনগরের বৃদ্ধ দম্পতিকে?

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধ দম্পতির চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ২টি লকার রয়েছে। তারমধ্যে একটি অ্যাকাউন্ট স্বপ্না মুখোপাধ্যায়ের, যাতে সাত লক্ষ টাকা ব্যালেন্স রয়েছে। তাঁর স্বামী দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের নামে বাকি তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।

Updated By: Aug 1, 2019, 09:35 AM IST
আলমারিতে ছিল কয়েক লক্ষ টাকার গয়না-নথি, লুঠের উদ্দেশ্যেই খুন নেতাজিনগরের বৃদ্ধ দম্পতিকে?

নিজস্ব প্রতিবেদন:  লুঠের উদ্দেশ্যেই খুন করা হয়েছিল বৃদ্ধ দম্পতিকে। নেতাজিনগরের খুনের ঘটনায় এই তত্ত্বই জোরালো হয়ে উঠছে।

 

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধ দম্পতির চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও ২টি লকার রয়েছে। তারমধ্যে  একটি অ্যাকাউন্ট স্বপ্না মুখোপাধ্যায়ের, যাতে সাত লক্ষ টাকা ব্যালেন্স রয়েছে। তাঁর স্বামী দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের নামে বাকি তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। তাতে মোট ৭০ হাজার, ১লক্ষ ৮০ হাজার ও ৮০ হাজার টাকা রয়েছে। তদন্তকারীরা তাঁদের ব্যাঙ্ক ডিটেলস খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছেন, সম্প্রতি ওই দম্পতি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলেছিলেন। তদন্তকারীরা মনে করছেন, আততায়ীরা সেই খবর জানত। আর সেই টাকা হাতিয়ে নিতেই খুনের পরিকল্পনা।

নেতাজিনগরে বৃদ্ধ দম্পতি খুনে নয়া তথ্য, সন্দেহের তালিকায় রং মিস্ত্রিরা

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসছে। ওই বাড়িতে তিনটি আলমারি ছিল। বাকি আলমারিগুলি ভাঙতে পারলেও খুনিরা একটি আলমারি ভাঙতে পারেনি। ওই আলমারিতেই দম্পতির ৩০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ও আড়াই লক্ষ টাকার গয়না রাখা ছিল। পুলিস ওই আলমারি খুলে তা উদ্ধার করেছে। সেক্ষেত্রে খুনের পর ওই আলমারির চাবিই খোঁজার জন্য ঘর লণ্ডভণ্ড করেছিল আততায়ীরা। উল্লেখ্য, পুলিসও প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ওই আলমারির চাবি খুঁজে পেয়েছে।

তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই বৃদ্ধ দম্পতি আলমারির চাবি কোথায় রাখত, তা আততায়ীরা জানত। কিন্তু সেই জায়গায় দুটি আলমারির চাবি খুঁজে পেলেও তৃতীয় আলমারির চাবি খুঁজে পায়নি তারা। বৃদ্ধ দম্পতি ওই আলমারির চাবিটি অনেক সযত্নে লুকিয়ে রেখেছিলেন। পুলিস মনে করছে, ওই আলমারিতেই যে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখা ছিল, তা আততায়ীরা জানত। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সেদিন নেতাজিনগরের ওই বাড়িতে ‘অপারেশন’ চালিয়েছিল আততায়ীরা।

এই ঘটনায় আরও একটি বিষয় ভাবাচ্ছে পুলিসকে।যদি আততায়ীদের লুঠ করার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল, তাহলে এই বৃদ্ধ দম্পতিকে এত নৃশংসভাবে কেন খুন করল তারা। ফাঁকা বাড়িতে বৃদ্ধ দম্পতিকে বেঁধে রেখেই লুঠ করতে পারত না। সেক্ষেত্রে পরিচয় ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করা হয়েছে। অর্থাত্ আততায়ী বৃদ্ধ দম্পতির পূর্ব পরিচিত বলেই মনে করছে পুলিস।

প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে নেতাজিনগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বছর ৮০-র দিলীপ মুখার্জি এবং বছর ৭২-এর স্বপ্না মুখার্জির দেহ। জানা গিয়েছে,  তাঁরা বাড়িতে  একাই থাকতেন। 

.