সিএবির অনুরোধেই সভাপতির নাম ঘোষণা করেছি, বিতর্ক এড়াতে তড়িঘড়ি জবাব মমতার
নবান্ন থেকে ঘোষিত হল সিএবি-র নতুন সভাপতির নাম। সৌরভ গাঙ্গুলির নাম ঘোষণা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। স্বশাসিত ক্রিকেট সংস্থার মাথায় কে বসবেন তার ঘোষণা রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর থেকে? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিএবি-কর্তাদের অনুরোধেই তাঁর এই ঘোষণা। আর নির্বাচন সময় অনুসারেই হবে।
ওয়েব ডেস্ক: নবান্ন থেকে ঘোষিত হল সিএবি-র নতুন সভাপতির নাম। সৌরভ গাঙ্গুলির নাম ঘোষণা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। স্বশাসিত ক্রিকেট সংস্থার মাথায় কে বসবেন তার ঘোষণা রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর থেকে? মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিএবি-কর্তাদের অনুরোধেই তাঁর এই ঘোষণা। আর নির্বাচন সময় অনুসারেই হবে।
ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষমতার লড়াইয়ে রাজনীতির হস্তক্ষেপ। আগেও হতো। এখনও হচ্ছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ঘোষণা করে দিলেন, সিএবি-র পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর যুগ্ম-সচিব হচ্ছেন জগমোহন ডালমিয়ার ছেলে অভিষেক ডালমিয়া। সিএবি সভাপতি কি তা হলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পছন্দে ঠিক হল? প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে আসছেন সিএবি কর্তারা। তাঁদের পাশে নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করছেন স্বশাসিত ক্রিকেট সংস্থার সভাপতির নাম। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য প্রকাশ্যে বারবার পুরো প্রক্রিয়াটি থেকে নিজেকে আলাদা করতে চেয়েছেন।
সাল ২০০৬। জগমোহন ডালমিয়ার বিরুদ্ধে সেদিন সিএবি সভাপতি পদে তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পছন্দের প্রার্থী ছিলেন প্রসূন মুখোপাধ্যায়। তিনি জিততে পারেননি। আর তারপর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, শুভ শক্তির বিরুদ্ধে অশুভ শক্তির জয় হল। সেদিন কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বলেছিলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বাহুবলীদের মতো কথা বলছেন। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করা হোক। ক্ষমতার নিয়মই কি তবে এরকম? এ ভাবেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি?
সিএবি সভাপতি পদে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। বাঙালির তাঁকে নিয়ে আবেগও প্রশ্নাতীত। নিয়ম মেনে সিএবিতে এ বার সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু, ভোটের আগেই তো ফল প্রকাশ হয়ে গেল।