নবান্নে ডেকে অনুব্রতকে ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হয় এমন কিছু রেয়াত করবেন না তিনি। পৈলান থেকে নবান্ন, সেই বার্তাই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৈলানের প্রকাশ্য সভায় সারদা নিয়ে ফের পাশে দাঁড়ালেন মদন মিত্র , মুকুল রায়ের।  মুখ্যমন্ত্রীর দাবি  সারদায় তাঁর দলের কেউ জড়িত নয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নবান্নে ডেকে এনে ধমক দিলেন বীরভূমের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে।  তাঁর কাজকর্মকে দল যে কোনও ভাবে বরদাস্ত করছে না স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।

Updated By: Nov 5, 2014, 08:39 PM IST
নবান্নে ডেকে অনুব্রতকে ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

ওয়েব ডেস্ক: দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হয় এমন কিছু রেয়াত করবেন না তিনি। পৈলান থেকে নবান্ন, সেই বার্তাই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৈলানের প্রকাশ্য সভায় সারদা নিয়ে ফের পাশে দাঁড়ালেন মদন মিত্র , মুকুল রায়ের।  মুখ্যমন্ত্রীর দাবি  সারদায় তাঁর দলের কেউ জড়িত নয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নবান্নে ডেকে এনে ধমক দিলেন বীরভূমের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে।  তাঁর কাজকর্মকে দল যে কোনও ভাবে বরদাস্ত করছে না স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান।  সকালে পৈলানে দলের কর্মিসভা।  দুপুরে নবান্নে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সারদা কাণ্ড নিয়ে দলের কর্মিসভায় আক্রমণাত্মক মেজাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।   ফের পাশে দাঁড়ালেন  মদন মিত্র, মুকুল রায়ের। ফের বললেন, সারদাকাণ্ডে দলের কেউ জড়িত নয়।

সারদা নিয়ে ক্রমশ দলের উপর বাড়তে থাকা চাপ কাটাতে এবার যে পাল্টা আক্রমণের পথেই যাবে তৃণমূল,  বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।  কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে  নবান্নে বৈঠক। হাজির মুকুল রায়, অনুব্রত মণ্ডল।  দলনেত্রীর তোপের মুখে পড়তে হল বীরভূমের এই ডাকসাইটে নেতাকে। জানিয়ে দেওয়া হল দলের সঙ্গে কথা না বলে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।  বুঝিয়ে দেওয়া হল দল তাঁর কাজ কর্মে মোটেই খুশি নয়।  কেন  সকালে মুকুল রায়  মদন মিত্রের  পাশে দাঁড়িয়ে বিকেলে অনুব্রত মণ্ডলকে তিরস্কার?  

রাজনৈতিক মহলের মতে সারদা কাণ্ডে বিরোধীদের চাপ বাড়ার পর মুকুল রায়, মদন মিত্ররা একটু যেন চলে গিয়েছিলেন পিছনের সারিতে। বেশ কিছুটা গুটিয়ে গিয়েছিল দলও। বিরোধীদের চাপও ক্রমশ বাড়ছিল। ফলে মুকুল রায়,  মদন মিত্রকে সামনে এনে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুব্রত মণ্ডল, অথবা আরাবুল ইসলামের ক্ষেত্রে কিন্তু একেবারেই ভিন্ন অবস্থান দলনেত্রীর।

তাঁদের কিছু কাজ কর্মে জন মানসে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছিল এমনটাই মনে করছেনন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার ফলেই বিজেপি সংগঠন বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে।  অনুব্রত মণ্ডলকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন দলের ভাবমুর্তির ক্ষেত্রে কোনও আপোশ করবেন না তিনি। ২০১৫র পুরসভার নির্বাচন এবং তার পর বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাবমুর্তিকে তুলে ধরাই যে এক মাত্র লক্ষ্য বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ।

.