বাংলার ছেলেমেয়েরা ভাল কাজ করে, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মমতা
এসএসকেএমে গিয়ে আন্দোলনরত ডাক্তারদের বহিরাগত তকমা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে বিজেপি-সিপিএমের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, বাঙালি ডাক্তাররা ভাল কাজ করছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন,'জুনিয়র ডাক্তাররা সবাই খারাপ নয়, যাঁরা বাংলাকে ভালবাসে বাংলার ছেলেমেয়েরা তাঁরা ভাল কাজ করছে। এখন অনেকেই সুযোগ পেয়ে যায়। কিন্তু ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে সরকারের। ২-৩ বছর পর তাঁরা চলে যান অন্য জায়গায়। তাঁদের পাই না। সিস্টেমটা পরিবর্তন হওয়া উচিত'। এদিন এসএসকেএমে গিয়ে আন্দোলনরত ডাক্তারদের বহিরাগত তকমা দিয়েছেন। সেই সুরেই মমতা বলেন,''আগে লোকালি হত। এরা না জানে ল্যাঙ্গোয়েজ। পাবলিকের সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে না। তা সত্ত্বেও মেনে নিয়েছি। কেন এটা হবে?''
আসলে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তারির পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষার কথা বলতে চেয়েছেন। আগে ডাক্তারি পড়ার পরীক্ষা নিত রাজ্যগুলি। কিন্তু এখন জাতীয়স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফলে বাঙালি ছাত্রছাত্রীরা বাইরে, আবার বাইরের রাজ্যের পড়ুয়ারা এরাজ্যে পড়াশুনোর সুযোগ পান। অনেকেই বলছেন, জাতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়ায় ডাক্তারি ছাত্র চয়নের গুণগতমান আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। রাজ্যগুলির প্রবেশিকা পরীক্ষায় স্বজনপোষণ-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ আকছার উঠত।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেছন, ডোমিসাইল এ চালু করবেন তিনি। এতে রাজ্যের ২০ শতাংশ ছেলেমেয়ে সুযোগ পাবেন। আইন আনা হবে। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কারণ এখন নিজের ইচ্ছামতো ২০ শতাংশ আসন বাড়াতে পারেন না রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- বাংলাকে ভালবাসি তাই বিদেশে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েও যাইনি,দাবি তৃণমূলের নির্মল মাঝির