মালবিকাই প্রেসিডেন্সির উপাচার্য থাকবেন, বিতর্কের অবসান ঘটালেন রাজ্যপাল

আগামি ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই কি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকবেন মালবিকা সরকার? নাকি তার আগেই তাঁকে সরানো হচ্ছে। বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে আজ রাজ্যপাল স্পষ্ট করে দিলেন, ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই পদে বহাল থাকবেন বর্তমান উপাচার্য। শিক্ষামন্ত্রীও বলেছেন, উপাচার্যের ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই নতুন উপাচার্য বাছাই নিয়ে পরবর্তী চিন্তাভাবনা শুরু হবে। গতকালই সার্চ কমিটির আহ্বায়ক সুগত মারজিত জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরেই নতুন উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য বৈঠকে বসছেন তাঁরা।

Updated By: Aug 22, 2013, 07:53 PM IST

আগামি ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই কি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকবেন মালবিকা সরকার? নাকি তার আগেই তাঁকে সরানো হচ্ছে। বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে আজ রাজ্যপাল স্পষ্ট করে দিলেন, ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই পদে বহাল থাকবেন বর্তমান উপাচার্য। শিক্ষামন্ত্রীও বলেছেন, উপাচার্যের ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই নতুন উপাচার্য বাছাই নিয়ে পরবর্তী চিন্তাভাবনা শুরু হবে। গতকালই সার্চ কমিটির আহ্বায়ক সুগত মারজিত জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরেই নতুন উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য বৈঠকে বসছেন তাঁরা।
বর্তমান উপাচার্যের বয়স হয়ে যাচ্ছে ৬৫। তাই অগষ্ট মাসের মধ্যেই নতুন উপাচার্য নিয়োগ করতে ১৯ শে জুলাই বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। কিন্তু  রাজ্যপাল যেখানে উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন, সেখানে রাজ্য সরকার কিভাবে নতুন উপাচার্য নিযোগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে, এনিয়ে রীতিমত হইচই শুরু হয়ে যায়। বিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছয় যে সমস্যা মেটাতে  হস্তক্ষেপ করতে হয় রাজ্যপালকে। শিক্ষা দফতর উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ  ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বুধবারই সার্চ কমিটির আহ্বায়ক দাবি করেন, সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে ছ-মাসের আগে যোগ্য উত্তরাধিকারি পাওয়া গেলে তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। 
 
সুগত মারজিতের এই বক্তব্যের পরই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে দেন, ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই বহাল থাকবেন বর্তমান উপাচার্য।
 
 একই কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রীও। বৃহস্পতিবার ছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এদিন তিনশো চল্লিশ জন ছাত্র-ছাত্রীকে মানপত্র দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানের শেষেও উঠে আসে দশই এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার প্রসঙ্গ। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন আইসির ছাত্রছাত্রীরা। হামলার ঘটনায় প্রকৃত অভিযুক্তদের কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।

.