৪০৯ ধারায় 'হ্যাঁ' বিচারকের, ক্ষীণ হল মদনের জামিনের আশা, বিশৃঙ্খলার অভিযোগ বার অ্যাসোসিয়েশনের বিপক্ষে
আইনজীবীদের নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকল আলিপুর আদালত। মদন মিত্রের বিরুদ্ধে চারশ নয় ধারা প্রয়োগ আটকাতে সোমবার এজলাসে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ উঠল তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে। টানা চারঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় বিচারককে। শেষ পর্যন্ত থেকে রাত সাড়ে দশটায় সারদা রিয়েলটি মামলায় চারশ নয় ধারা প্রয়োগের সম্মতি দেন বিচারক।বিচার ব্যবস্থার উপর আইনজীবীদের চাপ সৃষ্টির নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল আলিপুর আদালত। সারদা রিয়্যালিটি মামলায় চারশো নয় ধারা যোগ করতে সোমবার আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। সোমবারই এই ধারা যোগ না হলে জামিন পেয়ে যেতে পারতেন মদন মিত্র। শুরুতেই এক আইনজীবীর মৃত্যুর কারণ দেখিয়ে শুনানি স্থগিতের আবেদন জানায় বার অ্যাসোসিয়েশন । অন্য দিন শুনানির আবেদন জানান অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরাও। তবে বিচারক হারাধন মুখার্জি জানান, ওই মামলার কোনওশুনানি হচ্ছে না। টাইপিংয়ে ভুলের জন্য মামলায় ৪০৯ ধারা যোগ হয়নি। কগনিজেন্স অর্ডারে চারশো নয় ধারা যোগ করার জন্য তিনি স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেবেন। এর পরেই, এজলাসে চলে আসেন অন্য আইনজীবীরা। শুরু হয় চরম বাকবিতণ্ডা, বিশৃঙ্খলা।
কলকাতা: আইনজীবীদের নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকল আলিপুর আদালত। মদন মিত্রের বিরুদ্ধে চারশ নয় ধারা প্রয়োগ আটকাতে সোমবার এজলাসে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ উঠল তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে। টানা চারঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় বিচারককে। শেষ পর্যন্ত থেকে রাত সাড়ে দশটায় সারদা রিয়েলটি মামলায় চারশ নয় ধারা প্রয়োগের সম্মতি দেন বিচারক।বিচার ব্যবস্থার উপর আইনজীবীদের চাপ সৃষ্টির নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল আলিপুর আদালত। সারদা রিয়্যালিটি মামলায় চারশো নয় ধারা যোগ করতে সোমবার আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। সোমবারই এই ধারা যোগ না হলে জামিন পেয়ে যেতে পারতেন মদন মিত্র। শুরুতেই এক আইনজীবীর মৃত্যুর কারণ দেখিয়ে শুনানি স্থগিতের আবেদন জানায় বার অ্যাসোসিয়েশন । অন্য দিন শুনানির আবেদন জানান অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরাও। তবে বিচারক হারাধন মুখার্জি জানান, ওই মামলার কোনওশুনানি হচ্ছে না। টাইপিংয়ে ভুলের জন্য মামলায় ৪০৯ ধারা যোগ হয়নি। কগনিজেন্স অর্ডারে চারশো নয় ধারা যোগ করার জন্য তিনি স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেবেন। এর পরেই, এজলাসে চলে আসেন অন্য আইনজীবীরা। শুরু হয় চরম বাকবিতণ্ডা, বিশৃঙ্খলা।
অভিযুক্তদের এক আইনজীবী বিচারককে প্রশ্ন করেন আপনি কি সিবিআইয়ের চাপে কাজ করছেন? ক্ষুব্ধ বিচারক পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনারা আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? এর পর আইনজীবী আরও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিচারককে।
শুরু হয় বিচারকের বিরুদ্ধে কটূক্তি। এক আইনজীবী বলেন,বিদ্যাসাগরকে গোঁয়ার গোবিন্দ বলা হত। আপনিও গোঁয়ার গোবিন্দের মতো আচরণ করছেন। ক্ষিপ্ত বিচারক জানিয়ে দেন এতে তাঁর পদের অমর্যদা হচ্ছে।
তিনি ফের জানিয়ে দেন, তাঁকে অপমান করে লাভ নেই। তিনি স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ দেবেনই।
এর পর আইনজীবীরা রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, এর ফল ভাল হবে না।
তবে নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন বিচারক হারাধন মুখার্জি।
তিনি পাল্টা জানিয়ে দেন, 'এর পর কী করবেন? ঘেরাও করবেন? লাইট নিভিয়ে দেবেন? আমি অনড় থাকব।' এই মামলায় বিচারকের স্বার্থ রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন আইনজীবীরা।
প্রতিক্রিয়ায় বিচারক জানান, তাঁর স্বার্থ সিদ্ধির কোনও প্রশ্ন নেই। তাঁকে এই মামলা থেকে সরানো হলেও এদিনই রায় দেবেন তিনি।
এর পর টানা চারঘণ্টা বিচারককে ঘেরাও করে রাখেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিচারকের অবস্থানের কাছে হার মানেন বিক্ষোভকারী আইনজীবীরা। সন্ধে সাতটার পর উঠে যায় বিক্ষোভ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শেষ পর্যন্ত মদন মিত্র সহ সারদা রিয়েলটি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারা প্রয়োগে সম্মতি দেন বিচারক হারাধন মুখার্জি।