লকডাউনের বাজারে শ্যামপুকুরস্ট্রিটে চাল-ডাল, আলু, ডিমের পাশাপাশি রয়েছে সকালের চায়ের ব্যবস্থাও!
অসহায় ৫০০ জনের সকালে চা থেকে পেট ভরানোর দায়িত্ব নিয়েছেন পাড়ার খোকন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চা-শব্দটা যেন আপামর বাঙালির খুব কাছের! চা না-পসন্দ এমন বাঙালি বোধহয় হাতেগোনা। আর পাড়ার মোড়ের রঘু দা কিংবা হারু দা'র চায়ের দোকান! বাব্বা! সে তো শুধু দোকান নয়, যেন আস্ত বৈঠকখানা। সকাল-সন্ধ্যায় সেখানে ঢু না দিলে তো মেজাজটাই যেন কেমন ফিঁকে হয়ে যায়। কিন্তু করোনার কৃপায় এই ঘরবন্দির বাজারে তা আর হচ্ছে কই! অতঃপর নেই আড্ডা, একলা ঘর, ম্য়াজম্যাজে দিন!
এটা হয়তো এখন অনেকেরই মনের কথা।
গৃহবন্দি বুদ্ধবাবুও, কীভাবে কাটছে তাঁর সময়, জানালেন সেলিম
বিশেষত 'ইয়ং জেনারেশন' আর আমাদের কাকু-জ্যেঠু-দাদুদের! আর তাঁদের কথা মাথায় রেখেই লকডাউনের বাজারে চাতক বাংলাকে চা বিলি করতে আসরে নেমে পড়েছেন শ্যামপুকুর স্ট্রিটের বাসিন্দা খোকন দাস।
না, অবশ্য়ই লকডাউনের বাজারে নিয়ম ভেঙে নয়। তাঁর এলাকায় অসহায় যে সমস্ত মানুষগুলো রয়েছে, তাঁদের জন্য এই ব্যাবস্থা। তাই চাল ডাল খিচুড়ির ডিমের পাশাপাশি সকালে মাটির ভাঁড়ে ধোঁয়া ওঠা গরম চা বিলি করবেন পাড়ার খোকনদা।
এর জন্য পাড়ার চায়ের দোকানের শম্ভুদা, বিমলদা-কে ধরে আনছেন তিবি। চা-টা ভালো হওয়া চাই যে!
আয়োজনে কোনও খামতি নেই।
খোকন বললেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মানুষের পাশে সময় কাটাচ্ছেন, তাঁর দেখানো পথে এক ক্ষুদ্র উদ্যোগ। অসহায় ৫০০ জনের সকালে চা থেকে পেট ভরানোর দায়িত্ব নিয়েছেন পাড়ার খোকন।