করোনা রুখতে ৬ দফা নয়া নির্দেশিকা, স্বাস্থ্য ভবনে আজ জরুরি বৈঠক
নতুন ৩টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও কলকাতা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে।

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১। সরকারি আমলার লন্ডন ফেরত ছেলের শরীরে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লেও, আপাত স্বস্তির খবর বাবা-মা ও গাড়িচালকের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় এখনও কোনও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। মোট ৭টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। ২টি এসএসকেএম-এ ও ৫টি নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। এরমধ্যে নাইসেডে পাঠানো ৪টি নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে এসএসকেএম-এর ২টি ও নাইসেডে পাঠানো আরও ১টি নমুনার রিপোর্ট আসা বাকি।
কলকাতায় সরকারি আমলার ছেলের শরীরে COVID-19-এর উপস্থিতি ধরা পড়ার পরই, সংক্রমণ যাতে কোনওভাবে না ছড়িয়ে পড়ে তারজন্য আরও আঁটসাঁট ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। কলকাতা থেকে জেলা, কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে পরিস্থিতির মোকাবিলা। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনে জরুরি বৈঠক বসছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। আগামী দিনগুলির জন্য নতুন ৬টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কী কী? একনজরে দেখে নিন-
১) যে হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে সেখানে ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে। বোর্ডে থাকবেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,ফুসফুস বিশেষজ্ঞ, মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ইএনটি ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।
২) করোনা আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের জন্য পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। এছাড়াও সম্ভব হলে আইসোলেশন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (CCU) করতে হবে। সাধারণ সিসিইউ-তে কোনওভাবেই করোনা সন্দেহভাজন রোগীকে ভর্তি করা যাবে না।
৩) করোনা সন্দেহভাজন রোগীদের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য হাসপাতালে আলাদা বিল্ডিং বা ফাঁকা বিল্ডিংয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
৪) নতুন ৩টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র চালু করা হবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও কলকাতা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। এছাড়াও মালদা ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও দ্রুত পরীক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
৫) প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আলাদা করে ফিভার ক্লিনিক তৈরি করা হবে।
৬) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হলে সমস্ত চিকিৎসক-নার্সদের ছুটি বাতিল করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন,