আর একা নন অধীর, নবান্ন অভিযানে পাওয়া গেল সংঘবদ্ধ কংগ্রেসকেই
অধীর চৌধুরীর ডাকে নবান্ন অভিযান। হাজির সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য, মানস ভুইয়াঁ সহ প্রথম সারির সব নেতাই। অনেকদিন পর রাজপথে ঐক্যবদ্ধ ছবি কংগ্রেসের। কংগ্রেসের ডাকে বনধ। মাঠে ছিলেন অধীর চৌধুরী আর গুটি কয়েক নেতা। বাকি তাবড় নেতারা সেদিন গ্রিন রুনে। মাঠের বাইরে। এরপর ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেদিনও মঞ্চে একা অধীর। দেখা যায়নি অন্য কাউকে। নবান্ন অভিযানে কিন্তু, সেই চেহারাটাই বিলকুল বদলে গেল।
বেলা ১টা
সবে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের সভা। একটু একটু করে ভরছে রানি রাসমনি রোড। কর্মীদের মধ্যে একটাই ফিসফিসানি। কোন কোন নেতাকে দেখা যাবে?
বেলা ১.৩০
মঞ্চ ভরে গেছে বিধায়কে। বক্তৃতা চলছে। বাড়ছে কর্মী সমর্থকদের হাততালি। একের পর এক নেতারা উঠতে শুরু করলেন মঞ্চে। সোমেন মিত্র, মানস ভুইঁয়া, প্রদীপ ভট্টাচার্য় এলেন একসঙ্গে। সঙ্গে মায়া ঘোষ। এর একটু পরই মৌসম বেনজির নূর, আবু হাসেম খান চৌধুরী। আর একটু পর অমিতাভ মুখার্জি। কর্মীদের হাততালি আর স্লোগান তখন থামছেই না।
এক এক করে বক্তব্য রাখলেন সব নেতারা। সক্কলকে একসঙ্গে মঞ্চে দেখে খুশি খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও। এরপরই শুরু হল অবরোধ। সেখানেও বেশকিছুক্ষণ দেখা গেল প্রদেশ শীর্ষ নেতাদের। শুধু গরহাজির দুজন। আব্দুল মান্নান ও দীপা দাশমুন্সি। যিনি স্বঘোষিত অধীর বিরোধী। কিন্তু, শুধু অধীররে বিরোধী বলেই কংগ্রেসের অভিযানে এলেন না প্রাক্তন সাসংদ? প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস কর্মীরাই।