Ration Scam | Jyotipriya Mallick: SSKM-এ বালুর কেবিন থেকে সরবে CCTV, মোতায়েন হবে CRPF! কারা ঢুকছে? থাকবে কড়া নজর...
এসএসকেএম-এর এর ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। ওই হাসপাতাল এই ধরনের অভিযুক্তদের আস্তানা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এসএসকেএম-এর হাতে সিদ্ধান্ত ছাড়া হলে তারা সবাইকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করতে দেবে। তদন্তের ক্ষতি হয়ে যাবে। আদালতে দাবি করে ইডি।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: এসএসকেএম হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কেবিনের ভিতর থেকে সরাতে হবে সিসিটিভি। তার পরিবর্তে মোতায়েন করতে হবে সিআরপিএফ জওয়ান। যদি কেবিনের বাইরে কোনও সিসিটিভি থেকে থাকে, তাহলে তার ফুটেজ পাবে ইডি। কারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, সেটা দেখার জন্য রেজিস্টার থাকবে। এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, নিম্ন আদালতের নির্দেশ মোতাবেক হাসপাতালের কেবিনের ভিতরে এবং বাইরে বসানো হয় সিসিটিভি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই মামলাতেই এবার এইসকল নির্দেশ সমূহ বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। কারা কেবিনে ঢুকতে পারবেন সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন এসএসকেএম-এর সুপার। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মত প্রকাশ করেন বিচারপতি। যদিও এর তীব্র বিরোধিতা করেছে ইডি। এদিন ইডি আদালতে সওয়াল করে যে, এসএসকেএম-এর এর ভূমিকাও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। ওই হাসপাতাল এই ধরনের অভিযুক্তদের আস্তানা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এসএসকেএম-এর হাতে এই সিদ্ধান্ত ছাড়া হলে তারা সবাইকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করতে দেবে। তদন্তের ক্ষতি হয়ে যাবে। আদালতে দাবি করে ইডি।
যারপরই ইডির আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে, ২ জন তদন্তকারী আধিকারিকের অনুমতি সাপেক্ষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন সাক্ষাৎকারীরা। প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির ৪৬ দিনের মাথায় রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে প্রথম চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা সেই চার্জশিটে রেশন বণ্টনে কয়েকশো কোটির দুর্নীতি বলে দাবি করেছে ইডি। প্রথম চার্জশিটে রয়েছে বালু-বাকিবুর সহ ১২ নাম। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের মোট ১০ কোম্পানির বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ইডি। যার মধ্যে ৫টি জ্যোতিপ্রিয় ও ৫টি বাকিবুর রহমানের নামে নথিভুক্ত বলে খবর।
মোট ১৬২ পাতার চার্জশিটে যোগ করা হয়েছে পিএমএলএ ধারা। চার্জশিটের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে প্রচুর নথি ও হার্ড ডিস্ক। ওই চার্জশিটে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করেছে ইডি। সেখানে বলা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র হাত ধরে কমপক্ষে ৪৫০ কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে। রেশন বন্টন দুর্নীতি থেকে ধান দুর্নীতির কান্ডারি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। দুর্নীতির ছক তৈরি থেকে শুরু করে কালো টাকা সাদা করার ব্লু প্রিন্ট তো তৈরি করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমনকি সাহায্যকারীদের সরকারি চাকরিও দিয়েছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)