পিকে ও রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই 'বোধোদয়' বিমল গুরুংয়ের!

সূত্রের খবর, ৩ মাস আগে থেকে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয় তৃণমূলের।

Updated By: Oct 21, 2020, 09:45 PM IST
পিকে ও রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই 'বোধোদয়' বিমল গুরুংয়ের!

সুতপা সেন ও কমলিকা সেনগুপ্ত 

দীর্ঘ ৩ বছর পর বুধবার আচমকা কলকাতায় উদয় হলেন বিমল গুরুং। পুলিসের খাতায় ফেরার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাই সাংবাদিক বৈঠক করলেন। ঘোষণা করলেন, এনডিএ ছেড়ে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে জোট করতে চান। মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ফের মমতাকেই দেখতে চান। কিন্তু কী এমন হল যে গুরুং এমন ডিগবাজি খেলেন? শোনা যাচ্ছে, রাজ্যের এক মন্ত্রী গত ১ মাস ধরে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। এমনকি বৈঠক করেছেন তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরও।              

সূত্রের খবর, ৩ মাস আগে থেকে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয় তৃণমূলের। মাঝে দিল্লিতে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকও হয় তাঁর। তারপরও একাধিকবার কথা হয়েছে। শিলিগুড়িতে প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয় বিমল গুরংয়ের প্রতিনিধিদের। গত ১ মাস ধরে গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। আসানসোলের ওই নেতার সঙ্গে ঝাড়খন্ডে বৈঠক হয়েছে বিমল গুরুংয়ের।  

বুধবার দুপুরে রাজভবনে ওই মন্ত্রীর একটি কোয়ার্টারে যান বিমল গুরং। সেখানে ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত হয় সাংবাদিক বৈঠক করবেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা। এরপর সাংবাদিক বৈঠকে বিমল গুরং ঘোষণা করলেন, ''প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা রাখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা রাখেন। মমতাকেই ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে দেখতে চাই। ২০২১ সালের নির্বাচনে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোটে লড়াই করব। বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দেব।'' তৃণমূলের নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন বিমল গুরুং। তাঁর দাবি, সরকারের সঙ্গে কোনও বৈঠক হয়নি। কথা বলার চেষ্টা করছি। তৃণমূলের কোনও নেতার সঙ্গেও আলোচনা হয়নি।        

কিন্তু কেন মমতার শরণে এলেন বিমল গুরুং? গত ৩ বছর ধরে পাহাড়ে ফিরতে পারছেন না বিমল গুরুং। সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে থেকে লাভ হচ্ছিল না তাঁর। মামলা থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন না। আবার গোর্খাল্যান্ড নিয়েও বিজেপি ইঙ্গিত দেয়নি। ফলে সদর্থক কিছুই হচ্ছিল না। সে কারণে তৃণমূলের সঙ্গে ছাড়া বিমলের পাহাড়ে ফেরার অন্য উপায় ছিল না বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। আবার উত্তরবঙ্গের গোর্খা ভোট ফ্যাক্টর। অন্তত ১২টি বিধানসভা আসনে প্রভাব ফেলতে পারেন বিমল গুরং। ফলে তৃণমূলেরও দরকার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাকে।    

আরও পড়ুন- মমতার কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব ছাড়, এ এক রাজ্য চলছে বটে: দিলীপ

.